Oily Scalp: 'অয়েলি স্ক্যাল্প'-এর সমস্যা দূর করতে প্রতিদিনের জীবনে কী কী নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন?
Hair Care Tips: অয়েলি স্ক্যাল্প থাকলে চুলে সিরাম এবং বিভিন্ন হিটিং টুল যেমন স্ট্রেটনার বা কার্লার কিংবা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
Oily Scalp: চুলের সমস্যায় (Hair Problems) আজকাল প্রায় সকলেই জেরবার হন। চুল পড়ার সমস্যার পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যায় নাজেহাল হন পুরুষ থেকে নারী সকলেই। চুলের বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে অয়েলি স্ক্যাল্প (Oily Scalp) বা মাথার তালুর তেলতেলে ভাব। এই সমস্যা দূর করার জন্য কী কী করবেন, একনজরে দেখে নিন।
সঠিক শ্যাম্পু বেছে নেওয়া প্রয়োজন- আপনার চুল এবং স্ক্যাল্পের ধরন অনুসারে শ্যাম্পু বেছে নেওয়া প্রয়োজন। আপনার অয়েলি স্ক্যাল্প থাকলে সিলিকন এবং প্যারাবেন-ফ্রি অর্থাৎ এই দুই উপকরণ মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত শ্যাম্পু করা প্রয়োজন- অয়েলি স্ক্যাল্প থাকলে সপ্তাহে অন্তত দু' থেকে তিনবার শ্যাম্পু করা প্রয়োজন। যদি রোজ বাড়ির বাইরে বেরোন তাহলে চেষ্টা করুন প্রতিদিন শ্যাম্পু করার। নাহলে চুলে ধুলো, ময়লা খুব সহজে জমে যাবে।
কীভাবে শ্যাম্পু করবেন- শ্যাম্পুর সঙ্গে জল মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ২-৩ মিনিট ধরে মাথায় অর্থাৎ চুলে এবং স্ক্যাল্পে শ্যাম্পু ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর ঠান্ডা এবং পরিষ্কার জল দিয়ে ভালভাবে মাথা ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তবে মাথায় শ্যাম্পু ম্যাসাজ করার সময় একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন যাতে খুব জোরে ঘষে কখনই ম্যাসাজ না করা হয়। এর জেরে হেয়ার ফলিকল দুর্বল হয়ে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। অয়েলি স্ক্যাল্প থাকলে শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল ম্যাসাজ করবেন কিনা সেই ব্যাপারে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
কন্ডিশনার ব্যবহার করুন চুলের লম্বা অংশে- যাঁদের অয়েলি স্ক্যাল্প রয়েছে তাঁরা চুলে কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন। চুলের লম্বা অংশ বা লেংথ পোরশনে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। স্ক্যাল্প বা মাথার তালুতে কন্ডিশনার লাগাবেন না। এর ফলে স্ক্যাল্প আরও অয়েলি হয়ে যেতে পারে। কন্ডিশনার ভালভাবে ধুয়ে নেওয়াও প্রয়োজন। এই ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
অয়েলি স্ক্যাল্প থাকলে চুলে সিরাম এবং বিভিন্ন হিটিং টুল যেমন স্ট্রেটনার বা কার্লার কিংবা হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। এইসব জিনিস ব্যবহার করলে মাথার তালু আরও তেলতেলে বা তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন। এর পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার এবং ভাজাভুজি না খাওয়াই ভাল। তাজা শাকসবজি এবং ফল খেতে পারেন। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়াও ভাল।
আরও পড়ুন- সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাইলে রান্নায় ব্যবহার করুন এই ৫টি 'হেলদি কুকিং অয়েল'