Bangladesh News : বাংলাদেশে ২০ জন 'হাসিনাপন্থী' ছাত্রের মৃত্যুদণ্ড বহাল, কী অপরাধ তাদের?
Bangladesh : ঢাকা হাইকোর্ট ২০ জন ছাত্রের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরও ৫ জন ছাত্রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছে।

ঢাকা : ২০১৯ সালের একটি হত্যা মামলায় ২০ জন ছাত্রের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল ঢাকা হাইকোর্ট। সহপাঠিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনার আমলে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ফেসবুক-পোস্ট করার মূল্য চোকাতে হয়েছিল সেই ছাত্রকে, অভিযোগ এমনটাই। হাসিনার আমলেই ওই ২০ ছাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল ।
আবরার ফাহাদ নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ওই ২০ জনকে । হাসিনা জমানায় ফাহাদ শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তারপরই আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁকে বর্বরভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলে। ২০২১ সালে নিম্ন আদালত সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তারপর তারা নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। এবার হাইকোর্টও জানিয়ে দিল মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য এমন অপরাধীদের।
ঢাকা হাইকোর্ট ২০ জন ছাত্রের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরও ৫ জন ছাত্রের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রেখেছে। ফাহাদের পরিবার এই রায়ের নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবে। এই ঘটনার একজন অভিযুক্ত মুন্তাসির এখনও পলাতক। এরা সকলেই বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউইটি)-র ছাত্র ছিল।
দোষীরা সবাই হাসিনা-পন্থী
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সব ছাত্ররাই সে-সময় বিসিএল (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ)-এর সদস্য ছিল। বিসিএল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগেরই ছাত্র সংগঠন। ফাহাদ তার ফেসবুক পোস্টে সরকারের নীতির সমালোচনা করেছিলেন। তারপরই বিসিএল-এর ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আক্রমণ করে। তবে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দল সকল দোষীকে বহিষ্কার করেছিল।
নিম্ন আদালতেও মৃত্যুদণ্ডের রায়
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঢাকার একটি নিম্ন আদালত দোষী ছাত্রদের মৃত্যুদণ্ডই দিয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশে কিন্তু শেখ হাসিনারই শাসন ছিল। আরও ৫ জন ছাত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এখন হাইকোর্টের বিচারপতি আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চও এই রায় বহাল রাখল। বেঞ্চ জানিয়েছে, তারা হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট এবং এটি দ্রুত কার্যকর করা উচিত।
মৃত ফাহাদের ভাই ফয়াজ জানিয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি হাইকোর্টের রায় আসার আশা করেননি, তিনি সন্তুষ্ট। তবে তিনি এটাও মনে করেন যে এখনও অনেক আইনি প্রক্রিয়া বাকি আছে। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু রায়ের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
