(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Malnutrition in Children: করোনার থাবা শিশুদের পেটেও, অপুষ্টির নয়া খতিয়ান দিলেন গবেষকরা
Underweight Children Due To Covid Pandemic: করোনা থাবা মেরেছে শিশুদের পেটেও। দেশে অপুষ্টি বেড়েছে। এই সংক্রান্ত নয়া খতিয়ান দিল একটি নতুন গবেষণা।
কলকাতা: কোভিড ছাপ ফেলে গিয়েছে সারা বিশ্বেই। অর্থনীতির উপর স্থায়ী কিছু ছাপও রয়ে গিয়েছে। এবার তার আরেকটি ছাপ দেখা গেল শিশুদের শরীরে। কোভিডের সময় সারা দেশেই শস্য সরবরাহের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আর তার ফলেই অপুষ্টির শিকার বহু শিশু। সম্প্রতি ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলিতে এই নিয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। টাটা-কর্নেল ইনস্টিটিউট অব এগ্রিকালচার অ্যান্ড নিউট্রিশন (টিসিআই) এই গবেষণা করে।
কীভাবে গবেষণা করা হল ?
নয়া দিল্লিতে শিশুদের স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, তার পরীক্ষা করেন গবেষকরা। কোভিডের আগে এক দফা সমীক্ষা করা হয়। কোভিডের পরে দ্বিতীয় দফার সমীক্ষা করেন গবেষকরা। দুই সময় অবস্থার বদল থেকে এই গবেষণা পত্রের সিদ্ধান্তে পৌঁছান বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের কথায়, খাদ্যবন্টন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছিল কোভিডের সময়। তারই প্রভাব পড়েছে শিশুদের উপর। অপুষ্টি বেড়েছে এই আড়াই বছরের অতিমারিতে।
কোভিডের আগে ও পরের চিত্র
কোভিডের পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ১৪ শতাংশ বেড়েছে শিশুদের অপুষ্টির হার। স্বাস্থ্যকর ওজনের থেকে কম ওজন হলে তাকে আন্ডারওয়েট বলে। আন্ডারওয়েট শিশুদের সংখ্যা কোভিডের আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে। গবেষকদের এর বড় কারণ কোভিডের কারণে ব্যাহত হওয়া অর্থনীতি ব্যবস্থা। যার মধ্যে সরবরাহ প্রক্রিয়ার গোটা ব্যবস্থাটাই রয়েছে। এছাড়াও মূল্যবৃদ্ধি, কাজ হারানোও এর অন্যতম কারণ। সরকারের খাদ্যসুরক্ষা প্রকল্পকেও কারণ হিসেবে দেখছেন গবেষকরা।
শিশুদের চরম ক্ষতি
টিসিআই-এর ডাইরেক্টর একটি বিবৃতিতে বলেন, গবেষকরা অনেক আগে থেকেই এমন একটি পরিস্থিতির আশঙ্কা করেছিলেন। মনে করা হয়েছিল, কোভিডকালে গোটা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি বাড়বে। কমবে বৃদ্ধির হার। ইকোনমিক অ্যান্ড পলিটিক্যাল উইকলি-তে প্রকাশিত গবেষণা অবশেষে সেটাই প্রমাণ করে দিল।
মহিলাদের নিয়ে গবেষণা
এর আগে টিসিআই-এর তরফে আরেকটি গবেষণা করা হয়েছিল। কোভিডের প্রভাব ছিল তাঁর মূল বিষয়। মহামারির জেরে মহিলাদের রোজকার খাওয়াদাওয়াতে বড় বদল এসেছে। এমনটাই দেখা গিয়েছিল সেই গবেষণায়। এবার শিশুদের অপুষ্টিতে আরেকবার প্রমাণিত হল দেশের তৎকালীন পরিস্থিতির।
প্রসঙ্গত, এই গবেষণা করার জন্য নয়া দিল্লির পাশাপাশি বিহার ও ওড়িশা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ৫১১টি পরিবার থেকে এক দফা তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর পর ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফার তথ্য সংগ্রহ করেন গবেষকরা। সেই ভিত্তিতেই এই গবেষণার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন - Science News:পুরুষের তুলনায় Autoimmune Disease-র আশঙ্কা মহিলাদের বেশি কেন? নেপথ্য়ে X ক্রোমোজোম? আলোড়ন গবেষণায়
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )