Maharashtra Political Crisis: গুয়াহাটির হোটেলে শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়করা, 'কিছু জানি না', বললেন হিমন্ত
Himanta Biswa Sarma: উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা প্রথমে গুজরাতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। সেখান থেকে পরে গুয়াহাটির র্যাডিসন ব্লু হোটেলে এসে ওঠেন।
গুয়াহাটি: দুই রাজ্যের মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার। অথচ সেই অসমই এখন মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অস্থিরতার (Maharashtra Political Crisis) ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্যার গ্রাসে যখন হিমশিম খাচ্ছে অসম, গুয়াহাটির বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে সেইসময় গমগম করছে। বিক্ষুব্ধ শিবসেনা (Shiv Sena) বিধায়করা সেখানেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন। কিন্তু গোটা দেশের নজর সেদিকে থাকলেও, এ ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে দাবি করলেন অসমের (Assam Guwahati Hotel) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)।
শিবসেনা বিধায়করা কোথায় রয়েছেন জানেন না হিমন্ত!
বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হিমন্ত। সেখানে শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের গুয়াহাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে হিমন্ত বলেন, “অসমে অনেক ভাল হোটেল রয়েছে। যে কেউ আসতে পারেন, থাকতে পারেন। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। মহারাষ্ট্রের বিধায়করা অসমে রয়েছেন কিনা, জানি না আমি। অন্য রাজ্যের বিধায়করাও অসমে এসে থাকতে পারেন।”
উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা প্রথমে গুজরাতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। সেখান থেকে পরে গুয়াহাটির র্যাডিসন ব্লু হোটেলে এসে ওঠেন। সাত দিনের জন্য সেখানে শিবসেনার বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের জন্য ৭০টি ঘর বুক করা হয়েছে, যার খরচ পড়ছে প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও চার্টার্ড বিমান, বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবস্থা এবং অন্য সুবিধাও রয়েছে।
বন্যায় বিপর্যস্ত অসমে এ ভাবে বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের রাখার পিছনে বিজেপি-রই কলকাঠি রয়েছে বলে দাবি করছেন বিরোধী শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। অসমেও বিজেপি-র শাসন কায়েম রয়েছে। তাই গোটাটাই দিল্লি থেকে পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে পর্যাপ্ত সংখ্যা জোগাড়েই মহারাষ্ট্রের উপর বিজেপি-র নজর গিয়ে পড়েছে বলে দাবি তাঁর।
বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই রাজনৈতিক নাটকের ভরকেন্দ্র অসম
এই মুহূর্তে বন্যায় বিপর্যস্ত অসম। বৃহস্পতিবার নতুন করে ১২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্য্ন্ত ১০১ জনের খবর সামনে এসেছে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ। রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলা জলমগ্ন বলে জানা গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মোচনের চেয়ে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ব্যস্ত বলে অভিযোগ বিরোধীদের।