Maa Kamakhya Temple: মহাস্নানের পর ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন, বলিদান প্রথা, কামাখ্যা মন্দিরে মায়ের সাড়ম্বর আরাধনা
Kamakhya Mandir: শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে সাজানো হবে রাজবেশে
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, অসম: অসমের গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে প্রতিবারের মতো এবারও মায়ের সাড়ম্বর আরাধনা। নীলাচল পাহাড়ের কোলে ব্রহ্মপুত্রের তীরে এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী। শ্রেষ্ঠ সতীপীঠ হিসেবে পরিচিত কামাখ্যা।
সারা দেশ থেকে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন। এদিন দেবী মাকে মহাস্নান করিয়ে, ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন করা হয়। এরপর মহা বলিদান। মাছ ভোগ ও বলিদানের মহপ্রসাদ ভোগও নিবেদন করা হয় মাকে। সকালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। এখানে শুধু দর্শন নয়, মাকে স্পর্শ করে পুণ্যলাভ করতে আসেন ভক্তরা। কথিত আছে, এখানে না এলে তন্ত্রসাধনা সম্পূর্ণ হয় না। অমাবস্যায় শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে সাজানো হবে রাজবেশে। তন্ত্রমতে হবে পুজো। কামাখ্যায় আছে এক দক্ষিণা কালীর মন্দির। সেখানেও কার্তিক অমাবস্যায় হয় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
কলিযুগের স্বর্গ বলা হয় মা কামাখ্যার মন্দিরকে। মায়ের মূল মন্দির তৈরি করেছিলেন কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ। বাকি অংশের নির্মাণ করেন অহম রাজারা। কামাখ্যা মন্দিরে এদিন রাত পর্যন্ত মহাযজ্ঞ চলে। মন্দিরের মধ্যে ১০টি নামী আখড়ায় প্রথা মেনে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় কামাখ্যায় যজ্ঞ করেছিলেন।
আরও পড়ুন, পঞ্চ উপাচারে মঙ্গলারতি, বিশেষ নিশি পুজো, তারাপীঠে সাড়ম্বরে তারা মায়ের পুজো
প্রতি বছরের মত এবারও কালীপুজো ঘিরে সেজে উঠেছে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম অসমের কামাখ্যা। এখানে মায়ের যোনি পড়েছিল বলে কথিত আছে। মা এখানে দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিতা। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ের কোলে কামাখ্যা মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। কালীপুজো উপলক্ষে সকাল থেকে শুরু হয়েছে নিত্যপুজো। সন্ধেয় বিশেষ আরতি। কথিত আছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় এই কামাখ্যাতে যজ্ঞ করেছিলেন। মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড়। এ রাজ্য থেকেও অনেক ভক্ত পৌঁছে গিয়েছেন কামাখ্যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে