No Trust Motion: নীরবতা ভাঙানোই ছিল লক্ষ্য! বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে শুরু হচ্ছে আলোচনা, লোকসভায় জবাব দেবেন মোদি
Manipur Violence:গত ২৬ জুলাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, বিরোধীদের তরফ থেকে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ।
নয়াদিল্লি: মণিপুরকে সামনে রেখে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন বিরোধীরা (No Trust Motion)। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে জমা পড়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। আগামী ৮ থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক লোকসভায়। বিরোধীদের দাবি মেনে, অনাস্থা প্রস্থাবের প্রেক্ষিতে আগাংমী ১০ অগাস্ট সংসদে বিবৃতি দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
গত ২৬ জুলাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, বিরোধীদের তরফ থেকে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তাতে সবমিলিয়ে ৫০ জনের সমর্থন প্রয়োজন হয়। ৫০ জনের সমর্থন থাকায় লোকসভার লোকসভার সাংসদ ওম বিড়লা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তবে দিন ক্ষণ ঘোষণা হয়নি এতদিন। এবার জানা গেল, ৮ থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত সময়সীমা ঠিক হয়েছে।
মণিপুর হিংসা নিয়ে লাগাতার সরকারকে বিঁধে চলেছেন বিরোধীরা। সম্প্রতি বিরোধী জোট INDIA-র বিশেষ প্রতিনিধি দল ঘুরেও এসেছে মণিপুর থেকে। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। রাজ্যপালেপর সঙ্গেও দেখা করেনবিরোধী শিবিরের সাংসদরা। কুকি এবং মেইতেই অঞ্চলের ত্রাণশিবিরও ঘুরে দেখেন। সংসদে কেন্দ্রকে বিঁধতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশনের সূচনাপর্ব থেকে মণিপুরের প্রশ্নে দফায় দফায় উত্তাল হয়েছে সংসদ। কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রী কেন নীরবতা পালন করছেন, জসংসদের প্রধান হিসেবে কেন লোকসভায় দেশবাসীর সামনে মণিপুর নিয়ে বক্তব্য পেশ করছেন না, প্রশ্ন তোলেন সকলে। কিন্তু দফায় দফায় অধিবেশন মুলতবি হলেও, মোদি বিবৃতি প্রকাশ করেননি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হস্তক্ষেপ করতে চাইলেও, বিরোধীদের দাবি ছিল, শাহ সংসদের প্রধান নন। তাই উত্তর দেওয়ার দায় প্রধানমন্ত্রীরই।
সেই আবহেই লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে। তার প্রেক্ষিতে আস্থাভোট যদিও হয়ও, তাতে সংখ্যার নিরিখে মোদি সরকারের জয় নিশ্চিত বলে দাবি করছেন বিজেপি,-র নেতা-মন্ত্রীরা। যদিও বিরোধীদের দাবি, সরকার ফেলা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলতে বাধ্য করতেই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তাঁরা।
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ল লোকসভায়। এর আগে, ২০১৮ সালে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ-সহ একাধিক ইস্যুতে অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়ে। সেবার মোদি সরকারই জয়ী হয়। বর্তমানে লোকসভায় ৩৩০-এক বেশি আসন রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোটের। বিরোধীদের আসনসংখ্যা ১৪০-এর বেশি। তবে এর মধ্যে ৬০ জন সাংসদ এমন রয়েছেন, যাঁরা কোনও পক্ষেই নেই।