Uttar Pradesh News: টিফিনে আমিষ খাবার নিয়ে আসার জের, নার্সারির পড়ুয়াকে বরখাস্ত করল স্কুল
Amroha News: আমিষ খাবার নিয়ে আসায় নার্সারির এক পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হল। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলার একটি বেসরকারি স্কুলে।
আমরোহা: স্কুলের লাঞ্চ টাইমে খাবার জন্য টিফিন বক্সে আমিষ খাবার (non-veg food) নিয়ে এসেছিল। এর জেরে নার্সারির এক পড়ুয়াকে (Nursery student) স্কুল থেকে সাসপেন্ড করে দিলেন অধ্যক্ষ। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আমরোহায় (Amroha)। এই ঘটনাটির ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন ওই পড়ুয়ার মা। আর তারপরই তা ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ওই স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে ছোট্ট পড়ুয়াটির মায়ের বিষয়টি নিয়ে উত্তেজিত অবস্থায় তর্কাতর্কি করতেও দেখা গেছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে স্কুলের অধ্যক্ষকে পড়ুয়াটির মাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "আমরা এই ধরনের শিশুদের শিক্ষা দিতে চাই না যারা আমাদের মন্দির ভাঙবে এবং স্কুলে আমিষ খাবার নিয়ে আসবে।"
ওই স্কুলের অধ্যক্ষ আরও অভিযোগ করেন যে ওই ছোট্ট ছেলেটি ক্লাসের সবাইকে আমিষ খাবার খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করার পাশাপাশি তাদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। সেই সঙ্গে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ আরও জানান যে টিফিন বক্স করে আমিষ খাবার স্কুলে আনার কথা স্বীকার করেছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি ওই ছোট্ট ছেলেটির মা। উল্টে তাঁর দাবি, তাঁর সাত বছরের ছেলের পক্ষে এই ধরনের কথা বলা সম্ভব নয়। এর জবাবে ওই স্কুলের অধ্যক্ষ জানান, ওই শিশুটি এই বিষয়গুলি বাড়িতে তার বাবা-মায়ের থেকে শিখেছে।
ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকরা এই ঘটনা নিয়ে আপত্তি জানানোয় সাত বছরের ওই শিশুর নাম স্কুলের রেজিস্টার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অধ্যক্ষ। যদিও বরখাস্ত হওয়া ওই ছোট্ট পড়ুয়ার মা স্কুলের অধ্যক্ষের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে জানিয়েছেন, স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়ারা দেশব্যাপী চলা হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নিয়ে স্কুলের মধ্যেই তাঁর ছেলের সঙ্গে ঝগড়া করে। যা স্কুলের অধ্যক্ষের মদতেই হয়। সেই সঙ্গে আরও অভিযোগ করেন যে আমিষ খাবার আনার জন্য তাঁর ছেলেকে প্রায়দিনই ঝগড়া ও মারধর করে ওই ক্লাসেরই অন্য একটি ছেলে। যাকে পরোক্ষে মদত দেন স্কুলেরই অধ্যক্ষ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুলের অধ্যক্ষ দাবি করেন, বিষয়টি থেকে নজর ঘোরানোর জন্য অন্য পড়ুয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন ওই মহিলা।
সোশ্যাল মিডিয়াতে সাত মিনিটের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে আমরোহা পুলিশ। তারা জানায়, ইতিমধ্যেই স্কুলগুলির জেলা পরিদর্শক বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন পাশাপাশি তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: