Priyanka Gandhi Vadra: পরনে কেরলের কসাবু শাড়ি, হাতে সংবিধানের প্রতিলিপি, লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়ঙ্কা
Priyanka Gandhi Takes Oath: কেরলের ওয়েনাডের মানুষের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রিয়ঙ্কা, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আজ কেরলের বিখ্যাত কসাবু শাড়ি পরেই সংসদে যান তিনি।
নয়াদিল্লি: লোকসভার সাংসদ হিসেবে শপথ নিলেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কেরলের ওয়েনাড থেকে সম্প্রতি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার লোকসভায় গিয়ে শপথবাক্য পাঠ করলেন তিনি। এদিন সংসদে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে ছিলেন মা সনিয়া গাঁধী, দাদা রাহুল গাঁধীও। ওয়েনাড উপনির্বাচনে ৬.২২ লক্ষ ভোটে জয়ী হয়ে সংসদে প্রবেশ করলেন প্রিয়ঙ্কা। ৫২ বছর বয়সে নির্বাচনী রাজনীতিতে অভিষেক ঘটল তাঁর। (Priyanka Gandhi Vadra)
কেরলের ওয়েনাডের মানুষের হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রিয়ঙ্কা, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আজ কেরলের বিখ্যাত কসাবু শাড়ি পরেই সংসদে যান তিনি। সোনালী পাড়ের সাদা কসাবু শাড়ি ছিল পরনে, হাতে ছিল সংবিধানের প্রতিলিপি, যা ইদানীং কালে প্রত্যেক সমাবেশে রাহুলের হাতে থাকে। সেই সংবিধানের প্রতিলিপি হাতে নিয়েই সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন প্রিয়ঙ্কা। (Priyanka Gandhi Takes Oath)
শপথবাক্য পাঠের পর লোকসভায় সকলের সঙ্গে আলাপচারিতাও সারেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি যখন শপথ নিয়ে নামছেন, সেই সময় হাসিমুখে প্রিয়ঙ্কাকে অভিবাদন জানান রাহুল। প্রিয়ঙ্কার শপথগ্রহণের সাক্ষী হতে আজ লোকসভার গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন স্বামী রবার্ট বঢরা, তাঁদের ছেলেমেয়েরাও। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেও। প্রিয়ঙ্কার শপথগ্রহণের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রবার্ট।
Congress General Secretary Smt. @priyankagandhi ji takes the oath as a Member of Parliament from Wayanad.
— Congress (@INCIndia) November 28, 2024
📍New Delhi pic.twitter.com/lYqSLYbXSz
যে সময় প্রিয়ঙ্কার লোকসভার সদস্যতা পেলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। এই অধিবেশনেই ওয়াকফ সংশোধনী বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করানোর চেষ্টায় রয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। একযোগে ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করছেন বিরোধী শিবিরের সাংসদরা। পাশাপাশি, আদানি ইস্যুতেও সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন বিরোধীরা। সেখানে প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা কী হয়, দাদার পাশে থেকে লোকসভায় কেন্দ্রের প্রতি তাঁর আক্রমণ কেমন হয়, তা দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন সকলে।
নেহরু-গাঁধী পরিবারের সদস্য হয়েও, অনেকটা দেরিতেই নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন প্রিয়ঙ্কা। দাদা রাহুলের ছেড়ে যাওয়া কেরলের ওয়েনাড আসনে প্রার্থী হন তিনি। কঠিন সময়ে ওয়েনাড যেভাবে রাহুলের পাশে দাঁড়ায়, তিনিও একই ভাবে ওয়েনাডের পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। যদিও ওয়েনাড থেকে প্রিয়ঙ্কার প্রার্থী হওয়ার নেপথ্যে রাজনৈতিক কৌশল দেখছেন অনেকে। উত্তর এবং দক্ষিণে, গাঁধী পরিবাররে দুই সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করতেই প্রিয়ঙ্কাকে ওয়েনাড পাঠানো হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।