Everest Climbing: পাহাড়ে চড়ার ট্রেনিং ছিল না, ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখেই এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পা ৫৯-এর মহিলার
Kerala Tailor Reaches Everest Base Camp: ইউটিউবে পাহাড়ে চড়ার টিউটোরিয়াল ভিডিয়ো দেখেই বেশ কিছু কৌশল আয়ত্ত করেছিলেন তিনি। বলা ভাল কথা বলার সুবিধের জন্য তিনি এর পাশাপাশি হিন্দিও শিখে নিয়েছিলেন।

Inspiring Story: আশ্চর্য ঘটনা ! বড় সাফল্য হয়ত একেই বলে। মনোবল আর দৃঢ় প্রত্যয় মানুষকে ঠিক কোন শিখরে নিয়ে যেতে পারে তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি। ৫৯ বছর বয়সে প্রথাগত কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই পৌঁছে গেলেন এভারেস্টের (Everest Base Camp) বেস ক্যাম্পে। তাও আবার ইউটিউবে ভিডিয়ো (YouTube Video) দেখে ! আর এই অবিশ্বাস্য ঘটনা যিনি ঘটিয়েছেন তার নাম বাসন্তী চিরুভিত্তিল, পেশায় তিনি কেরালার এক দর্জি। বয়স তাঁকে হার মানাতে পারেনি, আর হার মানাতে পারেনি প্রশিক্ষণের অভাব।
ইউটিউবে পাহাড়ে চড়ার প্রশিক্ষণের টিউটোরিয়াল ভিডিয়ো দেখেই বেশ কিছু কৌশল আয়ত্ত করেছিলেন তিনি। বলা ভাল কথা বলার সুবিধের জন্য তিনি এর পাশাপাশি হিন্দিও শিখে নিয়েছিলেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি নেপালের সুরকি থেকে তার যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২৩ ফেব্রুয়ারি সফলভাবে তিনি এভারেস্টের বেসক্যাম্পে পৌঁছান। অন্য মানুষদের বিদ্রুপ, পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়াসও তাঁকে দমাতে পারেনি। একটানা ৪ মাস ধরে ঘরে বসেই প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি।
এর জন্য রোজ কঠিন নিয়মের মধ্যে নিজেকে বেঁধে নিয়েছিলেন বাসন্তী চিরুভিত্তিল। সকালে ঘুম থেকে টানা তিন ঘণ্টা মর্নিং ওয়াক, ট্রেকিং বুট পরে হাঁটা অভ্যাস, বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলে আরও ৫-৬ কিমি হাঁটা যা তার সহ্যক্ষমতা বাড়িয়ে তুলেছিল। আরও নিজেকে শক্ত সমর্থ করে তুলতে সংযোগস্থাপনের সুবিধের জন্য তিনি হিন্দিও শিখে নিয়েছিলেন। প্রাথমিক ট্রেকিংয়ের কৌশল শিখে নিয়েছিলেন ইউটিউবের ভিডিয়ো দেখে।
ট্রেকিং পোশাকের উপর দিয়ে ঐতিহ্যবাহী কেরালার কাসাভু শাড়ি পরেই এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে ৫৩৬৪ মিটার উচ্চতায় ভারতের পতাকা হাতে গর্বে বুক ফুলিয়ে সাফল্যের দৃষ্টান্ত রাখেন বাসন্তী চিরুভিত্তিল। আর সেই ছবিই তিনি পোস্ট করেন তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে।
এই এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছাতে অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরোতে হয়েছে তাঁকে। লুকলা অবধি তার বিমান বাতিল হয়ে যায়। এক জার্মান দম্পতির সঙ্গে দেখা হয় তার। তারাই তাঁকে এক মালবাহকের ব্যবস্থা করে দেন। একজন গাইড ছাড়া সেই মালবাহক পাহাড়ের দুর্গম পথে বাসন্তীর সঙ্গ দিয়েছিলেন। অতি উচ্চতায় শরীর অসুস্থ হয়ে যাওয়া আটকাতে ধীরে ধীরে হাঁটছিলেন বাসন্তী, শ্বাস নেওয়ার জন্য বারে বারে বিরতি নিচ্ছিলেন। ফিরে আসার সময় গোরক শেপ থেকে লুকলা পর্যন্ত হেলিকপ্টারে চড়ার স্বপ্নও পূরণ করে নিয়েছিলেন বাসন্তী।
এটাই তার প্রথম একাকী রোমাঞ্চকর অভিযান নয়, ২০২৪ সালের মে মাসে একা একাই থাইল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। তার দুই ছেলে বিনীত ও বিবেকের অনুপ্রেরণায় নিজের খরচ নিজেই যোগান দিয়েছিলেন বাসন্তী। এখন চিনের প্রাচীরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন তিনি। আজ থেকে দেড় বছর আগে তার স্বামী লক্ষণকে হারান তিনি। অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তার স্বামী।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
