টি-৯০ হল ভারতের মূল সামরিক ট্যাঙ্ক। এর জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্রের মোকাবিলার ক্ষমতা আছে, ৬০ সেকেন্ডে ৮টি শেল ছুঁড়তে পারে।
2/8
লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চিন-ভারত উত্তেজনার মধ্য়েই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘ভারত’ নামাঙ্কিত ড্রোন সরবরাহ করল প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)।
3/8
এদিকে, এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে জুনে গালওয়ান সেক্টরে ৬টি টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক ও টপ-অব-দি-লাইন শোল্ডার ফায়ার্ড ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
4/8
ডিআরডিও-র জনৈক কর্তা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও আইন রূপায়ণকারী এজেন্সিগুলিরও কাজে লাগানোর মতো ক্ষমতা এর আছে।
5/8
রাতের অন্ধকারে সব কিছু স্বাভাবিক দেখতে পাওয়ার ক্ষমতাও আছে ড্রোনের। এছাড়া তার ডিজাইন এমন যে এর উপস্থিতিও শত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়বে না। এর নিয়ন্ত্রণকারী সফটওয়্যারের মধ্যেই বসানো আছে গবেষণা চালানো ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কৃত্রিম নজরদারি যন্ত্র।
6/8
বলাই বাহুল্য লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তের ১৫৯৭ কিলোমিটার এলাকা থাকবে ভারত ড্রোনের নজরে। ডিআরডিও সূত্রে বলা হয়েছে, দেখতে ছোট, কিন্তু শক্তিশালী ড্রোনটি যে কোনও এলাকায় পুরো নির্ভূল ভাবে স্বয়ংক্রিয় কায়দায় কাজ করে। এর ইউনিবডি বায়োমেট্রিক ডিজাইনের সঙ্গে আছে অ্য়াডভান্স রিলিজ টেকনোলজি, যা নজরদারি অভিযান চালানোর একেবারে উপযুক্ত।
7/8
পূর্ব লাদাখে এলএসি বরাবর সমতল থেকে অনেক উঁচু জায়গায়, পাহাড়ি এলাকায় একেবারে নির্ভূল নজরদারি চালাতেই এই মানবহীন ড্রোন পাঠানো হয়েছে। এগুলি তৈরি হয়েছে ডিআরডিও-র চণ্ডীগড়ের গবেষণাগারে। ‘ভারত’-কে ‘দুনিয়ার সবচেয়ে ক্ষিপ্র ও একেবারে হালকা নজরদারি সিস্টেমগুলির’ অন্য়তম বলে তুলে ধরা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা শত্রুর প্রতিটা পদক্ষেপ মাপতে পারে ভারত ড্রোন।
8/8
তাছাড়া এমনভাবে মানবহীন যানটি তৈরি হয়েছে যাতে চরম ঠান্ডার আবহাওয়ায়ও কিছু হবে না, সেটি অক্ষত থাকবে। চিনা সেনাবাহিনীর এলএসি বরাবর সীমানা লঙ্ঘন করে ভারতে অনুপ্রবেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই ড্রোন নজরদারি চালানোর সময় রিয়েল টাইম ভিডিও, স্থিরচিত্র তুলে পাঠাতে পারে, এমনকী ঘন জঙ্গলে কেউ গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও ঠিক চিহ্নিত করতে পারে।