বাংলার লোকগান হোক কি বলিউডি ককটেল --- গাঁদা ফুলের কদর চিরন্তন। রাজনীতির রংবাজিতে হঠাতই ব্রাত্য তার রং!
2/12
কলকাতা পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাম্পিং স্টেশন। এখান থেকেই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হয়।
3/12
সেই পাম্পিং স্টেশনের ছাদে ৮ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে বাগান। সোমবার স্থানীয় বিধায়ক জাভেদ খানের উপস্থিতিতে তার উদ্বোধন ফিরহাদ হাকিম।
4/12
ডালিয়া, গোলাপ, বোগেনভেলিয়া সমেত আরও নানা ফুলের ছড়াছড়ি বাগান জুড়ে। কিন্তু গোল বাঁধল খোদ মন্ত্রীমশাইয়ের কথায়।
5/12
তৃণমূল বিধায়ক জাভেদ খান বলেন, গাঁদা ফুলের গন্ধও নেই। বেশিদিন টেকেও না। তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। কোনও গেরুয়া ফুল এখানে পাবেন না। নীল সাদা সবুজ ফুল পাবেন।
6/12
কিন্তু সূচ্যগ্র মেদিনী না ছাড়া ভোটমুখী বাংলার রাজনীতিতে শেকড়ে জমি পাচ্ছে না গেরুয়া পাপড়ির গাঁদা।
7/12
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রতিমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিতে বিন্দুমাত্র সময় নেয়নি বিজেপি।
8/12
দলের সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই যদি তা হলে তো মমতার জমানায় কৃষ্ণচুড়া, রক্তকরবী, পলাশ এসব ফুল ফোটারই কথা নয়। সব জায়গায় তাহলে ঘাসফুল হওয়ার কথা ছিল। সেও এক সমস্যা। তাহলে তো ঘাসফুলে পা রাখাও দায়।
9/12
ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, ফুলের বাগানেও কি তাহলে পঙ্গপালের মতো ঢুকে পড়ল রাজনীতির আগ্রাসন?
10/12
এই বাংলায় এখনও প্রাসঙ্গিক চৈতন্য মহাপ্রভুর শিক্ষা -- তৃণাদপি সুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুনা। যার অর্থ, তৃণের থেকেও নম্র এবং গাছের থেকেও বেশি সহনশীল হতে হবে। নিজের সম্মানের প্রত্যাশা না করে সম্মান দিতে হবে অপরকে।
11/12
ঘাসফুল যে দলের প্রতীক, সেই দলের নেতা বলছেন বাংলায় গেরুয়া ফুলের স্থান নেই।
12/12
পদ্ম যে দলের প্রতীক, তার নেতা বলছেন, সব ঘাসফুল হলে পা রাখা দায়। রাজনীতির চড়া রোদে ফুলের বাগান হাঁসফাঁস।