International Space Station: ফুটবল মাঠের সমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন, প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চালালেন বিজ্ঞানীরা
Science News: মহাকাশে ফুটবল মাঠের সমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটি অবস্থান করছে।
নয়াদিল্লি: পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত খুঁজে না পাওয়া গেলেও, মহাকাশে একরকম ঘাঁটি গড়ে তুলেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকেই মহাকাশ সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণার কাজ চলে। এই প্রথম সেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চলল। (International Space Station) পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ আগে কখনও হয়নি।
মহাকাশে ফুটবল মাঠের সমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনটি অবস্থান করছে। কীভাবে সেখানে কাজ করেন নভোশ্চররা, কতখানি এলাকা তাঁদের কাজে লাগে, সেই নিয়ে গবেষণাপত্র তৈরি করতে গিয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। সেই কাজে সহযোগিতা করেছেন নভোশ্চররা। (Science News)
কতখানি জায়গা জুড়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের অবস্থান এবং কতখানি জায়গা নভোশ্চররা ব্যবহার করেন, সেই নিয়েই তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। ক্যালিফোর্নিয়ার চ্যাপম্যান ইউনিভার্সিটির জাস্টিন ওয়াল্শ এবং তাঁর সহযোগীরা ৭ অগাস্ট PLOS ONE জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
গত দুই দশকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ২৩টি দেশের ২৭০-এর বেশি নভোশ্চরের পা পড়েছে। কীভাবে সেখানকার কাজকর্ম চলে, ভিডিও সাক্ষাৎকারে তা একাধিক বার জানিয়েছেন নভোশ্চররা। কিন্তু পৃথিবীর বাইরে, বদ্ধ, মাধ্যাকর্ষণহীন জায়গায় কীভাবে কাজ চালান তাঁরা, তা শুধুমাত্র মুখের বর্ণনায় বোঝা সম্ভব নয়।
তাই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের জীবনযাত্রা ও কাজকর্ম সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কাজে হাত দেন ওয়াল্শ। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভোশ্চররা কী কী ব্যবহার করেন, কোন পদ্ধতিতে কার্য সম্পাদন করেন, বিশদে গবেষণা শুরু হয়।
এক্ষেত্রে Shovel Test Pit পদ্ধতি অনুসরণ করেন গবেষকরা, যা প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে খোঁড়াখুঁড়ি সম্ভব নয়। তাই ২০২২ সালে ৬০ দিন ধরে রোজ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের ছয় জায়গার খুঁটিনাটির ছবি জড়ো করা হয়। ফলে কোথায় কোন জিনিস রয়েছে, তার কী ব্যবহার, পরিষ্কার বোঝা সম্ভব হয়।
৫ হাজার ৪৩৮টি জিনিসপত্রের বিভিন্ন ব্যবহার খতিয়ে দেখেন গবেষকরা। শরীরচর্চা কেন্দ্র, শৌচাগার সংলগ্ন এলাকায় কম ব্যবহৃত জিনিসপত্র, আবর্জনা মজুত করে রাখা হয় বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণের জায়গাটি ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে। এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চলল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।