Mars Sea Beach: মঙ্গলগ্রহে সমুদ্রসৈকতের খোঁজ মিলল, ছিল আস্ত মহাসাগর, আর জল্পনা নয়, সিলমোহর দিল Zhurong
Science News: ২০২১ সালে লালগ্রহের মাটি ছুঁয়েছিল চিনের Zhurong Rover.

নয়াদিল্লি: মঙ্গলের মাটির নীচ আস্ত সমুদ্রসৈকত। খোঁজ পেল চিনের Zhurong Rover. মঙ্গলগ্রহের উত্তরের সমতলে, মাটির নীচে চাপা পড়ে রয়েছে ওই সাগরসৈকত। একসময় মঙ্গলের বুকে মহাসাগর এবং বালির সৈকত ছিল বলে মিলল প্রমাণ। (Mars Sea Beach)
২০২১ সালে লালগ্রহের মাটি ছুঁয়েছিল চিনের Zhurong Rover. মঙ্গলের মাটিতে তার গবেষণা থেকে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে Proceedings of the National Academy of Sciences জার্নালে তা তুলে ধরা হয়েছে। আর ওই তথ্য সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। (Science News)
২০২১ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহের মাটিতে সক্রিয় ছিল Zhurong Rover. সেখানে ১.৯ কিলোমিটার একটি জায়গাকে প্রাচীন সাগরসৈকত বলে চিহ্নিত করেছে চিনা মহাকাশযানটি। উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে সেখানে মাটির নীচে উপকূলরেখার সন্ধান মেলে প্রথমে। মঙ্গলের মাটির প্রায় ২৬০ ফুট নীচে ওই সাগরসৈকত চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (Zhurong Rover)
মঙ্গলের নাটির নীচে পাথরের যে স্তর চোখে পড়েছে, তার সঙ্গে পৃথিবীর সমুদ্র উপকূলে প্রাপ্ত পাথরের মিল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোটি কোটি বছর আগে মঙ্গলের বুকে আস্ত মহাসাগর ছিল বলে মত বিজ্ঞানীদের। বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন কার্ডেনাস জানিয়েছেন, “মঙ্গলের মাটিকে এমন জায়গার সন্ধান পাচ্ছি আমরা, যেখানে একসময় সমুদ্রসৈকত, নদী, ব-দ্বীপ ছিল বলে বলে মনে হচ্ছে।” পাথরের উপর হাওয়া এবং ঢেউয়ের চিহ্ন রয়েছে এবং পৃথিবীতে যেমন পর্যটকে ঠাসা সৈকত চোখে পড়ে, মঙ্গলের বুকেও একসময় বালিতে ঢাকা সৈকত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পৃথিবীর অনুরূপ মঙ্গলেও একসমট প্রাণধারণের উপযোগী পরিবেশ ছিল, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলও পুরু ছিল, যার নীচে তরল অবস্থায় জল ছিল বলে অনেক আগেই ইঙ্গিত পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। নয়া গবেষণা তাঁদের সেই অনুমানের উপরই সিলমোহর দিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের মাটিতে থাকা সম্ভাব্য ওই মহাসাগরকে Deuteronilus বলে উল্লেখ করেন। আজ থেকে প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে তার ঢেউ লালগ্রহের মাটিতে আছড়ে পড়লেও, বর্তমানে তার অবশিষ্ট নেই বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। আজ থেকে আনুমানিক ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবী,মঙ্গল এবং সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলির সৃ্ষ্টি বলে মনে করা হয়। মঙ্গলের ইতিহাস ধরলে, ১০০ কোটি বছর আগে Deuteronilus মহাসাগরটি বিলুপ্ত হয়ে যায় বলে মত বিজ্ঞানীদের। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই এমনটা ঘটে এবং সেই জলের কিছুটা মহাকাশে মিশে যায় এবং বাকিটা মাটির নীচে চাপা পড়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।
Tianwen-1 অভিযানের আওতায় মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে Zhurong Rover. মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে, Utopia Planitia নামের মালভূমি অঞ্চলে সেটি নামে, তার নীচে মহাসাগর চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে অনেক আগেই ইঙ্গিত পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। NASA-র পাঠানো অন্য মঙ্গলযানের তুলনায় Zhurong Rover আরও উন্নত ছিল। মাটির ২৬০ ফুট গভীরতা পর্যন্ত দেখতে পাওয়ার রেডার ছিল তাতে। ২০২২ সালের ২০ মে হঠাৎই নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় Zhurong Roverটি। মঙ্গলের বুকে শীত নামলে ধুলোর ঝড়ের কবলে পড়ে মহাকাশযানটি। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ সেটিকে জাগিয়ে তোলার আশা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ঘুম ভাঙেনি, মঙ্গলের মাটিতেই মৃত্যু হয় মহাকাশযানটির।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
