Christina Koch: মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন, প্রথম নারী হিসেবে চন্দ্রাভিযানে, ইতিহাসের দোরগোড়ায় ক্রিস্টিনা
Artemis 2: চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছনো হোক বা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা, অথবা চাঁদের মাটিতে পা রাখা, এতদিন কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল পুরুষ মহাকাশচারীদের।
নয়াদিল্লি: ঢের আগেই চাঁদে পা পড়ে গিয়েছে মানুষের। এতদিনে কাছ থেকে চাঁদকে দেখার সুযোগ পেলেন এক নারী। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র উদ্যোগে তা সম্ভব হতে চলেছে। মহাকাশচারী ক্রিস্টিনা হ্যামক কোচকে (Christina Koch) চন্দ্রাভিযানে পাঠাচ্ছে নাসা (NASA)। অভিযানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
চন্দ্রাভিযানে এতদিন কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল পুরুষ মহাকাশচারীদের
চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছনো হোক বা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা, অথবা চাঁদের মাটিতে পা রাখা, এতদিন কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল পুরুষ মহাকাশচারীদের। ক্রিস্টিনার হাত ধরে তাতে ছেদ পড়তে চলেছে। এই প্রথম কোনও মহিলাকে চন্দ্রাভিযানে পাঠানো হচ্ছে।
শেষ বার ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭-এর কমান্ডার ইউজিনি সার্নান চাঁদের বুকে হেঁটেছিলেন। আগামী দিনে মহাকাশ বিজ্ঞানকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ১০ দিন ব্যাপী আর্টেমিস-২ অভিযানের (Artemis 2) ঘোষণা করেছে নাসা। তার জন্য ক্রিস্টিনা ছাড়াও ভিক্টর গ্লোভার, গ্রেগরি রিড ওয়াইজম্যান এবং কানাডার জেরেমি হানসেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এই চার জন চাঁদের বুকে পা রাখবেন না যদিও। তবে চাঁদের চারপাশেই ঘুরে বেড়াবেন। স্পেস স্টেশন থেকে বিভিন্ন প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখবেন, যাতে আগামী দিনে চন্দ্রাভিযানের পথ আরও সুগম হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বরে রওনা দেওয়ার কথা তাঁদের। অভিযান সেরে ফিরে আসবেন পৃথিবীতে।
আরও পড়ুন: Stock Market Holiday: মহাবীর জয়ন্তীর কারণে আজ কি BSE, NSE, MCX বন্ধ ? চলতি সপ্তাহে কতদিন হলিডে ?
জ্যাকসনভিলে বেড়ে ওঠা ক্রিস্টিনার। ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পদার্থবিদ্যায় স্নাতক। নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর। সাম্মানিক ডক্টরেটও পেয়েছেন তিনি।
নাসা-য় যোগ দেওয়ার আগে মহাকাশ প্রযুক্তি এবং সরঞ্জাম তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন ক্রিস্টিনা। আমেরিকার আন্টার্কটিকা অভিযানেরও অংশ ছিলেন। আন্টার্কটিকায় আমেরিকার গবেষণা কেন্দ্র পামার স্টেশনে কাটিয়েছেন এক বছর।
এর পর জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবরেটরির মহাকাশ গবেষণা বিভাগে যোগ দেন ক্রিস্টিনা। তার পর আরও একবার ফিরে যান আন্টার্কটিকায়। এ ছাড়াও টিউশন পড়ানো, গবেষণার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ২০০১ সালে নাসা অ্যাকাডেমি প্রোগ্রামে যোগ দেন। সেখানে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই কর্মরত ছিলেন।
নাসা-র তরফে বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিযুক্তি ক্রিস্টিনার
২০১৩ সালে নাসার ২১তম মহাকাশ অভিযান ক্লাসের আট সদস্যের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ক্রিস্টিনা। ২০১৫ সালে প্রশিক্ষণ শেষ হয়। ২০১৮ সালে প্রথম বার ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে যাওয়ার সুযোগ পান। ৪২ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের স্পেসওয়াকও রয়েছে প্রোফাইলে। সবমিলিয়ে ৩২৮ দিন মহাকাশে কাটিয়েছেন ক্রিস্টিনা। ২০২০-র ৬ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে ফেরেন তিনি। তার পর নাসা-র দফতরে কাজ করছিলেন। এ বার চন্দ্রাভিযানে শামিল হলেন।