Martian Green Sky: লালগ্রহ মঙ্গলের আকাশ হঠাৎই সবুজ, এই প্রথম চাক্ষুষ করলেন বিজ্ঞানীরা
Mars Sky Turns Green: গত ৯ নভেম্বর Nature Astronomy জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
নয়াদিল্লি: লালগ্রহ নামেই পরিচিত পৃথিবীর পড়শি গ্রহ মঙ্গল। পৃথিবীর বিকল্প বাসস্থান হিসেবেও দৌড়ে এগিয়ে সে। সেই মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলেই বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে বলে এবার ইঙ্গিত মিলল। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং রাশিয়ার রসকসমোসের প্রেরিত EcoMars Trace Gas Orbiter স্যাটেলাইটে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলকে উজ্জ্বল সবুজ রংয়ে উদ্ভাসিত হতে দেখা গিয়েছে। এই প্রথম মঙ্গলের আকাশে হরিৎবর্ণের ছটা চাক্ষুষ করলেন বিজ্ঞানীরা। (Martian Green Sky)
গত ৯ নভেম্বর Nature Astronomy জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। মঙ্গলগ্রহের আকাশে হঠাৎ সবুজ রংয়ের এই ছটাকে Airglow বলে উল্লেখ করেছেন বিজ্ঞানীরা, যা দিন, রাত, যে কোনও সময়ে হতে পারে। পৃথিবীর ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলের আকাশে আবির্ভূত সবুজ রংয়ের ছটার সঙ্গে পৃথিবীর মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভার মিল রয়েছে। কিন্তু পার্থক্যও রয়েছে বিস্তর। (Mars Sky Turns Green)
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দু'টি অক্সিজেন পরমাণু পরস্পরের সঙ্গে মিশে গিয়ে অক্সিজেন অণু তৈরির ফলেই মঙ্গলগ্রহের আকাশে ওই সবুজ রংয়ের ছটার আবির্ভাব। বিশেষ করে রাতের আকাশে সবুজ রংয়ের ছটার উৎপত্তি ওই ভাবেই বলে মনে করছেন তাঁরা। মঙ্গলের মাটি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় এই সবুজ রংয়ের ছটা ধরা পড়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্যাটেলাইটের ক্যামেরায়। সেই তুলনায় সূর্য থেকে নির্গত কণার সঙ্গে পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সংঘর্ষ বাধলে, ধরাধামে মেরুজ্যোতর সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, আচমকা মনঙ্গলের আকাশে এই সবুজ ছটার আবির্ভাব ঘটেনি। কমপক্ষে ৪০ বছর ধরেই মঙ্গলের আকাশ বিশেষ সময়ে সবুজ হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা এক দশক আগেই প্রথম সেটি চাক্ষুষ করতে পেরেছেন। প্রথমে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্যাটেলাইট বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করেন। তার পর ২০২০ সালে বিজ্ঞানীরা সেটি চাক্ষুষ করেন। তব এতদিন মূলত দিনের বেলায় ওই সবুজ রংয়ের ছটা দেখেছিলেন তাঁরা। এবার রাতের বেলায় মঙ্গলের আকাশে সবুজের প্রলেপ চোখে পড়ল।
আগামী দিনে মঙ্গলগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ম বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির বিবৃতিতে গ্রহবিদ জঁ-ক্ল জেরার্ড জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলীয় প্রবাহের উপর নজরদারি চালাতে এই মেরুজ্যোতিকে কাজে লাগানো যেতে পারে। পরবর্তী অভিযানে গ্লোবাল ইমেজিং ক্যামেরা পাঠাতে পারে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। মঙ্গলের চারিদিকে চক্কর কাটার সময়ও ওই মেরুজ্যোতি চাক্ষুষ করতে পারেন মহাকাশচারীরা। '
মঙ্গলগ্রহের মাটির ৪০ থেকে ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলের গঠন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষাতেও ওই সবুজ রংয়ের ছটা সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে আগামী দিনে মঙ্গলযান তৈরির কাজ যেমন সহজতর হবে, তেমনই মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব বুঝে কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। প্যারাশ্যুটের সাহায্যে মঙ্গলের মাটি ছোঁয়ার পরিকল্পনার কাজেও সুফল মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
- আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
- https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y