Shastri On Shami: শামিকে নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? কেন নিয়ে যাওয়া হল না অস্ট্রেলিয়ায়? ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শাস্ত্রী
India vs Australia: জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বিরাট কোহলিদের এক সময়কার কোচ রবি শাস্ত্রী অন্তত মনে করেন, তিনি কোচ থাকলে শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে মাঠে নামাতেন।
মুম্বই: মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে কি বেশিই টালবাহানা করছে ভারতীয় দল?
জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বিরাট কোহলিদের এক সময়কার কোচ রবি শাস্ত্রী অন্তত মনে করেন, তিনি কোচ থাকলে শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে মাঠে নামাতেন। দলের সঙ্গে রেখেই শামির চিকিৎসা করানো যেত বলেই মত শাস্ত্রীর।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল জাতীয় দলের হয়ে খেলা মহম্মদ শামির শেষ ম্যাচ। তারপরই গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করাতে হয় শামিকে। ৩৬০ দিন পর রঞ্জি ট্রফিতে মাঠে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন শামি। মধ্য প্রদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে বাংলার হয়ে খেলেন শামি। তারপর তাঁকে দেখা যায় সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-২০ ট্রফিতেও। বল হাতেও নজর কাড়েন। তবে হাঁটুতে জল জমে যাওয়ায় ফের কয়েকটি ম্যাচ বাইরে বসতে হয় শামিকে। বিজয় হাজারে ট্রফির শুরুর দিকের ম্যাচগুলিতে খেলতে পারেননি। এখন অবশ্য ফিট শামি। বিজয় হাজারে ট্রফির নক আউট পর্বেও খেলবেন।
যদিও অস্ট্রেলিয়ায় ভারত অধিনায়ক সাফ জানিয়েছিলেন, শামির হাঁটুতে চোট রয়েছে। পুরোপুরি ফিট না হলে ডানহাতি ফাস্টবোলারকে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হবে না। যদিও অস্ট্রেলিয়ায় বারবার যশপ্রীত বুমরার ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। শামি থাকলে যে বুমরার ওপর চাপ অনেক কমত, তাও মনে করেন ক্রিকেট পণ্ডিতরা।
শামিকে নিয়ে পুরো ঘটনায় ক্ষিপ্ত শাস্ত্রী। সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই আইসিসি রিভিউয়ে তিনি বলেছেন, 'আমি থাকলে অবশ্যই শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় উড়িয়ে নিয়ে যেতাম। টিমের সঙ্গে ওকে রিহ্যাব করাতাম। সেরা ফিজিওদের পরামর্শ নিয়ে রিহ্যাব করানো হতো। প্রয়োজন পড়লে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যও নেওয়া হতো। যদি তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত দেখতাম যে, শামি বল করতে পারছে না তাহলে দেশে ফিরিয়ে দিতাম ওকে।'
শামির যে ঠিক কী সমস্যা তা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এত গোপনীয়তা রাখছে কেন, দেখে হতবাক শাস্ত্রী। বলেছেন, 'সত্যি কথা বলতে কী, শামিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যা লেখালিখি হচ্ছে, আমি বেশ অবাক। ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে বসে রয়েছে না জানি কতদিন। ওর কী অবস্থা তা নিয়ে সঠিক বার্তা কই?'
শাস্ত্রী আরও বলেছেন, 'শামি যদি পুরোপুরি ফিট না হয় তাহলেও দিনে কয়েক ওভার বল করে দিত। ব্যাক আপ হিসাবে তো নীতীশ রেড্ডি ছিলই। শামির করা ওই কয়েকটা ওভারই সিরিজে তফাত গড়ে দিতে পারত। সিরিজের শেষ দিকে যশপ্রীত বুমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। শামি থাকলে বুমরাকেও সাহায্য করতে পারত।'
আরও পড়ুন: বুমরাকে রাগিয়ে দেওয়ায় ভয়ঙ্কর পরিণতি হয়েছিল, স্বীকারোক্তি অস্ট্রেলিয়ার তরুণের