(Source: Poll of Polls)
Jay Shah: পথ দেখিয়েছিল বাংলা, জয় শাহর আগে ভারত থেকে আর কারা বসেছিলেন আইসিসির মসনদে?
BCCI: আইসিসি-র ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হলেন জয় শাহ (Jay Shah)। তাঁর আগে আর কারা ভারত থেকে আইসিসির মসনদে বসেছেন? দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে
কলকাতা: আইসিসি-র ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হলেন জয় শাহ (Jay Shah)। ভারত থেকে পঞ্চম ক্রিকেট কর্তা হিসাবে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার মসনদে বসলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) পুত্র। যিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সচিব হিসাবে দায়িত্বভার সামলেছেন।
জয় শাহর আগে আর কারা ভারত থেকে আইসিসির মসনদে বসেছেন? দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে
জগমোহন ডালমিয়া (১৯৯৭-২০০০)
ভারত থেকে প্রথম আইসিসির মসনদে বসেছিলেন সিএবি তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, অধুনা প্রয়াত, কলকাতার জগমোহন ডালমিয়া। ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আইসিসি প্রেসিডেন্ট (তখনও আইসিসি চেয়ারম্যান পদের সূচনা হয়নি) ছিলেন তিনি। গোটা বিশ্বে ক্রিকেটের প্রসারে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ করা হয়েছিল ডালমিয়ার জমানায়। ততদিনে ক্রিকেট প্রশাসনে যুগান্তকারী বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে গোটা বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছিলেন ডালমিয়া। সম্প্রচার সত্ত্ব বিক্রি করে ক্রিকেট থেকে উপার্জনের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ নিয়ে আসা আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর অন্যতম সাফল্য। তাঁর আমলে আইসিসি-র আয় বেড়েছিল লাফিয়ে। পরে তাঁর পুত্র অভিষেক ডালমিয়াও ক্রিকেট প্রশাসনে আসেন।
শরদ পাওয়ার (২০১০-২০১২)
বিখ্যাত রাজনীতিবিদ শরদ পওয়ার। তবে ক্রিকেট প্রশাসনেও পরিচিত নাম। ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইসিসি প্রেসিডেন্ট ছিলেন শরদ পওয়ার। ক্রিকেটের প্রসারে নতুন ফর্ম্যাট তুলে ধরায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
এন শ্রীনিবাসন (২০১৪-১৫)
২০১৪ সালে আইসিসি চেয়ারম্যান পদটির অন্তর্ভুক্তির পর প্রথম চেয়ারম্যান হন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রধান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। তাঁর আমলে ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিগ থ্রি মডেল। যে তিন দেশ গোটা ক্রিকেট বিশ্বের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে মরিয়া ছিল।
শশাঙ্ক মনোহর (২০১৫-২০১৭, ২০১৮-২০২০)
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শশাঙ্ক মনোহর দুবার আইসিসি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রথম দফায় ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। পরের দফায় ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত। লাভের অঙ্ক সদস্য দেশগুলির মধ্যে বণ্টনের ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ করেছিলেন মনোহর। ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত করতেও সচেষ্ট ছিলেন তিনি।