IND vs AUS: 'সুপারস্টার' তকমা দেওয়ার প্রথা বন্ধ হোক ভারতীয় ক্রিকেটে, কড়া বার্তা গাওস্করের
Sunil Gavaskar: গত বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে ব্যাট হাতে একেবারেই ভাল পারফর্ম করতে পারেননি বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। দেশবাসীর কাছে চরম সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে ২ তারকা ক্রিকেটারকে।
মুম্বই: পরপর দুটো টেস্ট সিরিজে লজ্জার হার। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১-৩ ব্যবধানে হার। দলের ২ প্রধান তারকা রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) চূড়ান্ত অফফর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সুনীল গাওস্কর (Sunil Gavaskar)। এমনকী ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার বোর্ড ও নির্বাচকদেরও একহাত নিয়েছেন। ভারতীয় দলের অন্দরে সুপারস্টার তকমা নিয়ে ঘোরা ও সেই ধরণের সংস্কৃতিকে যাতে আমল না দেওয়া হয়, সে কথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন গাওস্কর। অস্ট্রেলিয়ায় খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন লিটল মাস্টার।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে-তে এক সাক্ষাৎকারে গাওস্কর জানিয়েছেন, ''আমার মনে হয় আগামী ৮-১০ দিন ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিজেদের পারফরম্য়ান্স নিয়ে একটু পর্যালোচনা করা উচিৎ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই তারকা বানিয়ে দেওয়ার প্রথা ভারতীয় ক্রিকেটে এবার বন্ধ হওয়া উচিৎ। শুধু লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ভারতীয় ক্রিকেট। তার সঙ্গে কোনও আপোস করা যাবে না।''
টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ১০ হাজার রান পূরণ করেছিলেন গাওস্কর। প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার বলেন, ''প্রত্যেক খেলােয়াড়কে প্রতিটা সিরিজের জন্য নিজেকে তৈরি রাখতে হবে। যদি কেউ মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকে। তবে তাঁকে দলে নেওয়ার কোনও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা এমন কোনও প্লেয়ারকে চাই না, যে কিছুটা সময় দেশের জার্সিতে খেলবে ও কিছুটা সময় খেলার বাইরে থাকবে। বেশি কদর করা কোনও কোনও নির্দিষ্ট ক্রিকেটারকে, এগুলো একেবারেই উচিৎ নয়। সাম্প্রতিক ফলাফলই তার সবচেয়ে বড় নিদর্শন। আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা উচিৎ ছিল। কিন্তু আমরা ফাইনালে পৌঁছতেই পারলাম না।''
পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে গাওস্করের নিশানা রোহিত ও বিরাটের দিকে। ভারত অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকে সাফল্য নেই রোহিতের ঝুলিতে। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ হার। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম টেস্টে খেলেননি। স্ত্রী রীতিকা দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই সময় স্ত্রী-র পাশে থাকতে চেয়েছিলেন হিটম্য়ান। অন্য়দিকে বিরাটও বছরের বেশিরভাগ সময়ই এখন দেশের বাইরে লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। ফলে মনসংযোগেও ব্যাঘাত ঘটছে বারবার। যার প্রভাব পড়ছে দলের ফলাফলেও। তাই এবার শুধুমাত্র নিয়মিত যাঁরা দেশের জার্সিতে খেলার মানসিকতা দেখাবেন, তাঁদেরই আগে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গাওস্কর।