Virat Kohli Ranji Trophy: 'মানুষের চিৎকারে পার্টনারের কল শুনতে পাইনি', কোহলিকে ঘিরে উন্মাদনা দেখে মুগ্ধ বাংলার প্রতিপক্ষ
Delhi vs Railways Ranji Trophy Match: কেমন ছিল স্টেডিয়ামের আবহ? কোহলির বিরুদ্ধে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই বা কী রকম? শোনালেন বঙ্গসন্তান বিবেক সিংহ।

কলকাতা: কেউ বলছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড। কারও কারও মতে, একটা রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ম্যাচ ঘিরে যে এরকম গণউন্মাদনা দেখা যেতে পারে, বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত তা হয়তো বিশ্বাসই করা যেত না।
অভূতপূর্ব কাণ্ড ঘটে চলেছে রাজধানী দিল্লির বুকে। দিল্লি বনাম রেলওয়েজ় রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। যে ম্যাচে প্রায় ১৩ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা যাচ্ছে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)।
আর বিরাট-দর্শনের জন্য ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের (অধুনা অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) কানায় কানায় উপচে পড়া ভিড়। বৃহস্পতিবার প্রায় বিশ হাজার মানুষ রঞ্জি ম্যাচ দেখতে ভিড় করলেন কোটলায়।
কেমন ছিল স্টেডিয়ামের আবহ? কোহলির বিরুদ্ধে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাই বা কী রকম? শোনালেন বঙ্গসন্তান বিবেক সিংহ। যিনি এক সময় বাংলার হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। পরে রেলে চাকরির সুবাদে রেলওয়েজ দলে যোগ দেন।
বৃহস্পতিবার রঞ্জি ট্রফির প্রথম দিনের খেলার শেষে টিমহোটেলে ফিরে নয়াদিল্লি থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি আনন্দকে বিবেক সিংহ বললেন, 'জীবন্ত কিংবদন্তির বিরুদ্ধে খেলতে পারাটা আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রাজত্ব করছে। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলি। দক্ষতায় অনেক এগিয়ে বিরাট ভাই। সামনে থেকে দেখে দুর্দান্ত লাগল। সারাদিন মাঠে সামনে থেকে ওকে দেখে বুঝলাম, মাটিতে পা রেখে কীভাবে চলতে হয়। নিজের দলের প্রতি কত ভালবাসা রয়েছে, কতটা দায়বদ্ধতা রয়েছে।'
দিল্লির হয়ে ২০১২ সালে রঞ্জি খেলেছিলেন বিরাট। তারপর খেলছেন রেলওয়েজের বিরুদ্ধে ম্যাচে। বিবেক বলছিলেন, 'দিনের খেলার শেষে বিরাট কোহলির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ও বলছিল, এটাই আমার বাড়ি। এই দলের হয়ে খেলেই ক্রিকেটের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেছি। জুনিয়র স্তর থেকে দিল্লির হয়ে খেলেই পরিচিতি পেয়েছি। বাড়ি ফেরার অনুভূতি হচ্ছে।'
উন্মাদনার ছবিটা কীরকম ছিল? বিবেক বলছেন, 'রেকর্ড সংখ্যক দর্শক হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। রঞ্জি ম্যাচে এরকম ভিড় কোনওদিন দেখিনি। যখন মাঠে ঢুকছিলাম, স্টেডিয়ামের বাইরে লম্বা লাইন। সকলেই মাঠে ঢুকতে চান। দুটো গ্যালারি শুধু খোলা হয়নি। বাকি গোটা স্টেডিয়াম ভরে গিয়েছিল। এক-একটা আসনে দুজন করে বসেছিলেন! বিরল দৃশ্য। এত চিৎকার হচ্ছিল যে, আমি ব্যাটিং পার্টনারের কল শুনতে পাচ্ছিলাম না। মাঠে লোক ঢুকে পড়েছিল বিরাটকে আলিঙ্গন করবে বলে।'
প্রথম ইনিংসে রান পাননি বিবেক। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১৪ বল খেলে কোনও রান না করেই নভদীপ সাইনির বলে ফিরেছেন। বিরাটের কাছে ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ চাইলেন? বিবেকের কথায়, 'ব্যাটিং নিয়ে পরামর্শ চেয়েছি। বিরাট ভাই কথা দিয়েছে, ম্যাচ শেষ হলে টিপস দেবে।'
আরও পড়ুন: মেসবাড়িতে ৮ বছর একসঙ্গে, বাজি জিতে ঋদ্ধিমানের কাছে এখনও ব্যাট পাওনা ডিন্ডার
বৃহস্পতিবার ব্যাটিং করার সুযোগ হয়নি কোহলির। ফিল্ডিং করেছেন। কেমন দেখলেন? বিবেক বলছেন, 'পেসারদের বলে স্লিপে ফিল্ডিং করছিল। স্পিনাররা বল করার সময় মিড উইকেট আর কভারে ফিল্ডিং করছিল। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও যে জায়গায় ফিল্ডিং করতে দেখা যায়।' যোগ করলেন, 'ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ। সকলেই পরিচিত মুখ। খুব বেশি আগ্রাসী ছিল না ফিল্ডিংয়ের সময়। নিজের কাজটা করছিল।'
দিল্লির এক উইকেট পড়েছে। শুক্রবারই হয়তো ব্যাট হাতে দেখা যাবে কোহলিকে। তবে প্রতিপক্ষের ধর্ম ভুলছেন না বিবেক। বলছেন, 'আমরা চাইব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিরাট আউট হয়ে যায়। ওর ব্যাটিং সকলেই উপভোগ করে। কিন্তু রেলওয়েজ দল কখনওই চাইবে না বিরাট তাদের বিরুদ্ধে বড় ইনিংস খেলুক। দিল্লিকে দ্রুত অল আউট করতে পারলে আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পাব।'
আরও পড়ুন: অবসরের ম্যাচে চমক, চেনা ভূমিকায় ঋদ্ধিমান, ইডেনে চাপ কাটল না বাংলার
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
