Cyber Scam: সাইবার জালিয়াতিতে হারিয়েছেন ১৮০০ কোটি টাকা, সমীক্ষায় কপালে ভাঁজ ভারতীয়দের
Digital Fraud: ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। ই সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সাইবার জালিয়াতি নিয়ে ৭.৪ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়েছে।
Digital Fraud: দেশে বাড়ছে সাইবার জালিয়াতির মাত্রা। বহু লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছেন ভারতীয়রা। সম্প্রতি খুব পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট (Digital Arrest) যেখানে ভুয়ো পুলিশ বা সিবিআই অফিসার সেজে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে গ্রেফতারির হুমকি দিয়ে টাকা লুট করে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে নাগরিকদের। এই জালিয়াতি (Digital Fraud) নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ভারতীয়দের। সরকারও এ নিয়ে চিন্তিত। সম্প্রতি 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে রবিবার ২৭ অগাস্ট নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল অ্যারেস্ট থেকে বাঁচার তিনটি উপায় বলে দেন। আর এই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসেই ডিজিটাল অ্যারেস্টেই (Cyber Scam) ভারতীয়রা খুইয়েছেন ১২০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টাল এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
এই সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে সাইবার জালিয়াতি নিয়ে ৭.৪ লক্ষ অভিযোগ জমা পড়েছে। এই ধরনের ডিজিটাল জালিয়াতির মধ্যে ৪৬ শতাংশ রয়েছে ডিজিটাল অ্যারেস্ট, ট্রেডিং জালিয়াতি, বিনিয়োগ জালিয়াতি, ডেটিং অ্যাপ জালিয়াতি।
এক সংবাদসংস্থাকে ভারতীয় সাইবারক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের মুখ্য এক্সিকিউটিভ অফিসার রাজেশ কুমার জানিয়েছেন ভারতীয়রা এখনও পর্যন্ত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৭৭৬ কোটি টাকা হারিয়েছেন জালিয়াতিতে খুইয়েছেন। এর মধ্যে ট্রেডিং জালিয়াতিতে টাকা হারিয়েছে ১৪২০.৮৮ কোটি টাকা, বিনিয়োগ জালিয়াতিতে টাকা লুট হয়েছে ২২.৫৮ কোটি টাকা এবং ডেটিং স্ক্যামে খোয়া গিয়েছে ১৩.২৩ কোটি টাকা। এমনকী এও জানা গিয়েছে জালিয়াতদের বেশিরভাগই মায়ানমার, লাওস ও কম্বোডিয়ার বাসিন্দা।
অভিযোগের মাত্রা কমেনি, বরং বেড়েছে। ২০২১ সালে সাইবার জালিয়াতি বিভাগে অভিযোগ জমা পড়েছিল ৪.৫২ লক্ষ, ২০২২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৯.৬৬ লক্ষ, ২০২৩ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫.৫৬ লক্ষ এবং ২০২৪ সালে এসে জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সাইবার অপরাধ বিভাগে অভিযোগ জমা পড়ে ৭.৪ লক্ষ।
'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে এসে মোদি বলেন, অধিকাংশ সময়ে জালিয়াতরা কোনো নাগরিককে ফোন করেন এবং পুলিশ বা ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক সেজে গ্রেফতারির ভয় দেখান, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে টাকা লুট করেন। এই ডিজিটাল অ্যারেস্টে টাকা লুট থেকে বাঁচাতে প্রথমেই ভয় পাওয়া যাবে না। ঠান্ডা মাথায় পুরো ঘটনার স্ক্রিনশট বা রেকর্ডিং করতে হবে পারলে। কখনই ব্যক্তিগত তথ্য জানানো যাবে না। মনে রাখতে হবে কোনো সরকারি এজেন্সি এভাবে ফোনে কাউকে হুমকি দেবে না। ভিডিও কলেও কোনো সংস্থা এভাবে টাকা চাইবে না বা ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইবে না। তিনি এও জানান, এই ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ ন্যাশনাল সাইবার হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০-তে ফোন করতে হবে বা cybercrime.gov.in ওয়েবসাইটে সমস্ত তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: Digital Arrest: ডিজিটাল অ্যারেস্ট জালিয়াতি বাড়ছে দেশে, কীভাবে বাঁচবেন ? জানালেন মোদি