Deepfake Video: মুকেশ আম্বানির ডিপফেক ভিডিয়োয় চরম প্রতারণা ! ৭ লাখ খোয়ালেন মুম্বইয়ের ডাক্তার
Mukesh Ambani Deepfake Video: একটি শেয়ার-ট্রেডিং সংস্থাকে সমর্থন করেছেন মুকেশ আম্বানি, এমনই একটি ডিপফেক ভিডিয়োর (Cyber Scam) জালে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন মুম্বইয়ের এক ডাক্তার।
Mukesh Ambani Deepfake Video Scam: মুম্বইয়ের এক ডাক্তার সম্প্রতি শেয়ার বাজারে এক জালিয়াত চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে ৭ লাখ টাকা হারিয়েছেন। একটি শেয়ার-ট্রেডিং সংস্থাকে সমর্থন করেছেন মুকেশ আম্বানি, এমনই একটি ডিপফেক ভিডিয়োর (Cyber Scam) জালে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন সেই ডাক্তার। মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে থাকেন ডা. কে এইচ পাতিল, ৫৪ বছর বয়স তাঁর। আয়ুর্বেদ চিকিৎসা নিয়েই প্র্যাক্টিস করছেন বহুদিন ধরে। এই বছর এপ্রিল মাসে ইনস্টাগ্রামে এমনই একটি ভিডিয়ো (Mukesh Ambani Deepfake Video) দেখার পর প্রতারণার শিকার হন। আদপে কী ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে ?
বিগত ১৫ এপ্রিল ইনস্টাগ্রামে নিউজফিড স্ক্রল করতে করতে একটি ডিপফেক ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে সেই ব্যক্তির কাছে। ভিডিয়োতে দেখানো হয়েছে রাজীব শর্মা ট্রেডিং গ্রুপ নামের একটি সংস্থার হয়ে প্রশংসামূলক প্রচার করছেন মুকেশ আম্বানি। বিনিয়োগের উপর উচ্চ হারে রিটার্ন পাওয়ার জন্য এই অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন মুকেশ আম্বানি। চিকিৎসক ডা. কে এইচ পাতিল এই বিষয়ে মুম্বই পুলিশের কাছেও একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মুকেশ আম্বানির মত বড় শিল্পপতিকে দেখে এবং তাঁর কথায় বিশ্বাস করে অনলাইনে সেই অ্যাকাডেমির খোঁজ করতে থাকেন সেই ডাক্তার, দেখেন যে লন্ডনে এবং মুম্বইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে এই সংস্থার অনুশীলন শাখা আছে। এর ফলে এই সংস্থার (Mukesh Ambani Deepfake Video) বৈধতা নিয়েও আপাতভাবে নিশ্চিত হয়ে যান চিকিৎসক পাতিল। পুলিশের কাছে দায়ের করা FIR-এ তিনি জানিয়েছেন, অনলাইনে তিনি সেই অ্যাকাডেমির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং এই বছর মে থেকে জুন মাসের মধ্যে মোট ৭.১ লক্ষ টাকা একটি অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন যেখানে তাঁর বিনিয়োগের রিটার্ন দেখিয়েছিল ৩০ লাখ টাকারও বেশি।
জুন মাসের শুরুতে যখন তিনি তাঁর রিটার্ন তোলার চেষ্টা করেন, তখনই তিনি ব্যর্থ হন। বারবার চেষ্টা করেও টাকা তুলতে পারেননি তিনি। ডা. পাতিল বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন এবং তখন বন্ধুদের পরামর্শে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। আন্ধেরির ওশিওয়ারা থানায় সেই অ্যাকাডেমির অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং যে যে অ্যাকাউন্টে সেই চিকিৎসক টাকা পাঠিয়েছিলেন, তেমন ১৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বর্তমানে। পুলিশ মারফত জানা গিয়েছে এর আগেও মুকেশ আম্বানির ডিপফেক ভিডিয়ো ব্যবহার করে প্রতারণার কাণ্ড ঘটেছে।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: সপ্তাহান্তে বাংলার এই জেলাগুলিতে সস্তা পেট্রোল, কলকাতায় জ্বালানি কত ?