Coal Scam: কয়লা-কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিকদের ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত বিশেষ সিবিআই আদালতের
Judicial Custody In Coal Scam:কয়লা-পাচার কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন ইসিএল আধিকারিক ও কর্মীদের ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোল সিবিআই আদালত। দু'তরফের শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেয় আদালত।
কৌশিক গাঁতাইত,পশ্চিম বর্ধমান: কয়লা-পাচার কাণ্ডে (coal scam) ধৃত প্রাক্তন ইসিএল (ECL) আধিকারিক ও কর্মীদের ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতের (judicial custody) নির্দেশ দিল আসানসোল (asansol) সিবিআই আদালত (CBI court)। দু'তরফের শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী।
যা ঘটল...
আজ শুনানির শুরুতেই অন্যতম অভিযুক্ত তন্ময় দাসের আইনজীবী আশিস কুমার বেশ কিছু তথ্য় দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে তাঁর মক্কেল কয়লা পাচারের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁর দাবি, পদে থাকাকালীন অবৈধ খনির বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে এফআইআরের মতো করে বহু চিঠি দিয়েছিলেন তন্ময়। কার্যত একই দাবি করেন আর এক আইনজীবী আশিস মুখোপাধ্যায়ও। সঙ্গে যুক্তি, গত ১৪ দিনে সিবিআই উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্য পায়নি। গোটা ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-কে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করেন আশিস মুখোপাধ্যায়। উল্টো দিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার জানান অভিযুক্তরা জামিন পেলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সঙ্গে সংযোজন, এর মধ্যে তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু এমন তথ্য় পাওয়া গিয়েছে যা তদন্ত এগোতে সাহায্য করেছে। সব শুনে বিচারক চক্রবর্তী আরও চোদ্দো দিন অভিযুক্তদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ১৬ অগস্ট তাঁদের ফের আদালতে পেশ করার কথা বলা হয়েছে।
কয়লা পাচারে এখনও পর্যন্ত
গত ১৫ জুলাই সুভাষ মুখোপাধ্যায় নামে ইসিএলের আরও একজন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই গ্রেফতারি নিয়ে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে ইসিএল কর্তা-কর্মী মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮-এ। কয়লা মাফিয়ার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, কয়লাকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ইসিএলের ৪ বর্তমান-প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার। সিবিআই সূত্রে দাবি, শুধু অনুপ মাঝি নয়, আরও অনেক কয়লা মাফিয়ার থেকেই ২০১৮-র শেষ দিক থেকে ২০২০-র প্রথম কয়েক মাস পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন ধৃত ইসিএল আধিকারিকরা।