Purulia News: কারেন্ট না থাকায় টর্চের আলোয় ডেলিভারি ! বিদ্যুৎ বিভ্রাট পুরুলিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
Purulia Cesarean Delivery Under Torch Light : বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অধিকাংশে সময়েই থাকে না বিদ্যুৎ, কারেন্ট না থাকায় টর্চের আলোয় হল এবার ডেলিভারি !
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া : একলহমায় মনে হতে পারে, রিয়েল নয়, রিল বোধহয় ! থ্রি ইডিয়েটের ফ্রেম কি ? আজ্ঞে না, তবে অনেকটা তেমনই প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। যেখানে অধিকাংশ সময়েই থাকে না সময়েই থাকে না বিদ্যুৎ। কারেন্ট না থাকায় মোবাইলের টর্চের আলোয় এবার হল ডেলিভারি !
বান্দোয়ান ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অধিকাংশে সময়েই থাকে না বিদ্যুৎ। সমস্যায় রোগীরা। মাঝে মাঝে মোবাইলের আলোতে করতে হয় অপারেশন। প্রায় সময় অন্ধকারের মধ্যেই থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে হয় রোগীদের। এই সমস্যার কথা রাজ্যে সরকারের করসূচি পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হলেও জেনারেটার চালনার জন্য তেল ও অপারেটরের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জেনারেটর চালানো হয় না বলে জানান, এই ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক কাজিরাম মুর্মু।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে গত ১৪ তারিখে এক প্রসূতিকে নিয়ে চরম সমস্যায়ও পড়েছিলেন তিনি।রোগীদের পরিষেবার জন্য হাসপাতালে জেনারেটার থেকেও না থাকা অবস্থা, এই ভাবেই স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ৩০ শয্যার এই হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ রোগী ও তার আত্মীয়রা। তবে জানা গিয়েছে, মোবাইলের টর্চের আলোয় হলেও ওই ডেলিভারি সফল হয়েছে। সদ্যোজাত ও তাঁর মা সুস্থ রয়েছেন।
একদিকে যখন মেডিকেলে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় দেশ, ঠিক তখন স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পশ্চিমবঙ্গ। সরকারি প্রকল্পে ছানি অপারেশন করাতে গিয়ে, কার্যত ভুক্তভোগী একাধিক রোগী। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই অঘটন? আদৌ কি মানা হয়েছিল স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইন? এই রোগীরা আদৌ দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন তো? প্রশ্নের পাহাড় জমেছে বাংলায়।
আরও পড়ুন, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ, আতঙ্কে আগরতলা হয়ে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পর্যটকরা..
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা বলছে,ওটি-তে যে জল ব্যবহার করা হয় তা জীবাণুমুক্ত কিনা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হয়।ফিউমিগেশন অর্থাৎ তিনবার অপারেশনের পরই ওটির সরঞ্জাম, দেওয়াল, টেবিল-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সোয়াব বা নমুনা সংগ্রহ করে তা জীবানুমুক্ত কিনা পরীক্ষা করতে হয়। মেটিয়াবুরুজ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কী এসব নিয়ম আদৌ মানা হয়েছিল? সূত্রের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, অপারেশনের জন্য যে ওষুধ ও তরল ব্যবহার হয়েছিল তাতে জীবাণু থাকতে পারে। অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, টেবিল, অপারেশন থিয়েটার সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছিল কিনা, সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।এছাড়া, এসিতে হেপাফিল্টার থাকলেও তা কাজ করেছিল কিনা তাও নজরে রয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।