DA Agitation: ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের, মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ধিক্কার দিবস পালনের সিদ্ধান্ত
West Bengal News: বুধবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সমস্ত দফতরে ধিক্কার দিবস পালন করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ৯ মার্চ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র (DA)দাবিতে দুদিনের কর্মবিরতির পর এবার ৯ মার্চ সরকারি কার্যালয়ে বনধের ডাক। কোঅর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বৈঠকে সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে বকেয়া DA-র দাবিতে অনশনের আজ ১৩ তম দিন। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে বুধবার মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সমস্ত দফতরে ধিক্কার দিবস পালন করবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা।
আগামী ৯ মার্চ জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর মধ্যে থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও। অন্যদিকে, শহিদ মিনারের সামনে বকেয়া DA-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন এদিন ২৭ দিনে পড়ল।
বকেয়া ডিএ-এর দাবি অব্যাহত আন্দোলন: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে, যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের ডাকে, গতকাল মঙ্গলবার কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনেও চলে সরকারি কর্মীদের একাংশের অবস্থান-বিক্ষোভ। অন্যদিকে, সোমের পর মঙ্গলেও, ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা পথে নামলেন তৃণমূলপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মীরা। দু-পক্ষের স্লোগানে সাময়িক উত্তেজনাও ছড়ায়। গতকাল, সকাল থেকেই খাদ্য ভবনের সামনে, কর্মবিরতির সমর্থনে প্রচার শুরু করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মীরা।
ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে সামিল হন, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির যৌথ মঞ্চও। এরপর বেলা যত গড়িয়েছে, প্রচুর কর্মী যোগ দিয়েছেন অবস্থান বিক্ষোভে।এদিনও পাল্টা রাস্তায় নামে তৃণমূলপন্থী সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং বা নব মহাকরণের সামনেও বিশাল মিছিল করেন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের কর্মীরা। বেলেঘাটা সেলস ট্যাক্স অফিস, স্টেট জিএসটি অফিসেও কর্মবিরতি পালন করেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে, শহিদ মিনারের সামনে বকেয়া DA-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন এদিন ২৬ দিনে পড়ল। আর অনশনের ১২-তম দিনেও এদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন অর্পিতা সাহা নামে এক অনশনকারী। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর জেলাশাসকের অফিস চত্বরে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে মিছিল করছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সেই সময় পাল্টা মিছিল বের করে তৃণমূলের রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনের সদস্যরাও। দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে, দু-পক্ষের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। সূত্রের খবর, নবান্নে মঙ্গলবার সরকারি কর্মীদের হাজিরা ছিল প্রায় ৭৫ শতাংশ। সোমবারের মতো এদিনও দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলনে সামিল হয়ে একাংশ পেনডাউন করলেও, আরেকটি অংশ অন্যান্য দিনের মতোই কাজ করেন।
আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের কালীঘাট অভিযানে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি