Bansberia Municipality : বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় 'আমরুত' প্রকল্পের প্রায় ১৭ কোটি টাকা নয়ছয় ? থানায় অভিযোগ দায়ের
TMC-led Municipality : চেয়ারম্যানের বক্তব্য, আমরুত প্রকল্পের ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল পুরসভার কাজের জন্য...
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁশবেড়িয়া : 'আমরুত' প্রকল্পের (Amrut Project) প্রায় ১৭ কোটি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় (Bansberia Municipality)। এনিয়ে মগরা থানায় (Magra PS) অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাতেই ধরা পড়ে অনিয়ম। এমনই দাবি করেছেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। পূর্বতন বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।
কী অভিযোগ ?
চেয়ারম্যানের বক্তব্য, আমরুত প্রকল্পের ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল পুরসভার কাজের জন্য। সেই টাকা ইঞ্জিনিয়ার সম্রাট তালুকদারের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করা হয় তৎকালীন পুর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের অন্ধকারে রেখে। সম্রাট তালুকদারের গাড়ির বিল দেখানো হয় ছয় লক্ষ টাকা। টেন্ডার দেওয়া থেকে বিভিন্ন কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেয়। এর পরেই FIR করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন ; ২ ঘাট থেকে উদ্ধার চুঁচুড়ার গঙ্গায় ভেসে যাওয়া ২ তরুণের দেহ
বাঁশবেড়িয়া পুরসভা তৃণমূলের পরিচালনাধীন। আগের বোর্ডও ছিল তৃণমূলের। তার চেয়ারপার্সন ছিলেন অরিজিতা শীল। বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও তাঁকে প্রশাসক রাখা হয়। অরিজিতার স্বামী তৃণমূল কর্মী সত্যরঞ্জন শীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগীকে প্রাণে মারার চেষ্টার। এরপরেই অরিজিতাকে সরিয়ে আদিত্যকে প্রশাসক করে দল। পুরভোটে জেতার পর আদিত্য নিয়োগীকেই চেয়ারম্যান করা হয়। ভাইস চেয়ারপার্সন করা হয় শিল্পী চ্যাটার্জিকে। আগের বোর্ডেও শিল্পী কাউন্সিলর ছিলেন।
আদিত্য ও শিল্পীর দাবি, তাঁরা বোর্ডে থাকলেও, টাকা খরচের বিষয়ে তাঁদের কিছু জানানো হত না। নতুন বোর্ড গঠনের পর তাঁরা কাজ করতে গিয়ে দেখেন প্রকল্পের টাকা আসছে না। আগের বোর্ডের দুর্নীতির কারণেই বর্তমান বোর্ড কাজ করতে সমস্যায় পড়ছে বলে দাবি তাঁদের।
শিল্পী চ্যাটার্জি বলেন, এটা ঠিক আগের পুর বোর্ড তৃণমূলেরই ছিল। কিন্তু, চেয়ারপার্সন একাই সব করতেন। তাই দুর্নীতি হলেও আমাদের কিছু করার ছিল না।
আদিত্য নিয়োগী বলেন, আমরা চাই, সঠিক তদন্ত। এর আগেও একবার অভিযোগ হয়েছিল। সেই সময় মিথ্যা অডিট রিপোর্ট দিয়ে বিষয়টিকে চাপা দেওয়া হয়েছিল। এবার এই দুর্নীতির সঠিক তদন্ত চাই।