Kolkata News: শনিবার বন্ধ থাকছে পানীয় জলের সরবরাহ, প্রভাবিত দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ওয়ার্ড, জানাল পুরসভা
Kolkata News: পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে যে, ৭, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বরোর আংশিক এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
কলকাতা: মার্চ এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা শহরের। সেই পরিস্থিতিতে এ বার পানীয় জল নিয়ে ভোগান্তি সইতে হতে পারে দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata News) বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। কারণ শনিবার দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে পানীয় জলের সরবরাহ (Drinking Water Supply) বন্ধ থাকছে।
কলকাতা পুরসভার (KMC) তরফে জানানো হয়েছে যে, ধাপার জয়হিন্দ প্রকল্পে একাধিক মেরামতি এবং এয়ার ভালভের ছিদ্র সারাইয়ের কাজ হবে। তার জন্য ২৬ মার্চ সকাল থেকে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। এর ফলে প্রভাবিত হবে ইএম বাইপাস সংলগ্ন আনন্দপুর, পিকনিক গার্ডেন, মুকুন্দপুর, পাটুলি, গড়িয়া, হাটগাছিয়া, মেট্রোপলিটন, তপসিয়া, চায়না টাউন, আরুপোতা, বাঘাযতীন, নিউ গড়িয়া, বৈষ্ণবঘাটা, রামলাল বাজার, কসবা, সন্তোষপুর, হালতু, অজয়নগর, পঞ্চসায়র, পঞ্চান্ন গ্রাম, সার্ভে পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
যে যে এলাকায় বন্ধ থাকবে পানীয় জল সরবরাহের পরিষেবা
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে যে, ৭, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর বরোর আংশিক এলাকায় পানীয় জলের সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তাই দিন ভর দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তার জেরে সাধারণ মানুষকে দু্র্ভোগ পোহাতে হতে পারে। তাই আগেভাগেই পুরসভার তরফে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করে দেওয়া হল সকলকে। তবে রবিবার থেকে দক্ষিণ কলকাতার ওই অংশে ফের স্বাভাবিক হবে পানীয় জল সরবরাহ।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: বগটুই গ্রাম হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা আতঙ্কে মুখ খুলতে চাইছেন না
তবে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে, বিকল্প ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুরসভা। জানানো হয়েছে যে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কলকাতা পুরসভার জল বিভাগের তরফে আগাম ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে অতিরিক্ত জল ভরে ওই সমস্ত এলাকায় স্ট্যান্ডবাি মোডে রাখা থাকবে, যাতে প্রয়োজনে জলের জোগান দেওয়া যায়।
শনিবার মেরামতি সেরে ফেলার নির্দেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের
উল্লেখ্য, জয়হিন্দ প্রকল্পের এয়ার ভালভে একাধিক ছিদ্র রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ সামনে এসেছিল। সম্প্রতি সে কথা জানানো হয় মেয়রপ ফিরহাদ হাকিমকে। তাতে ২৬ মার্চের মধ্যে সারাইয়ের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতোই শনিবার পানীয় জলের পরিষেবা বন্ধ রেখে সারাইয়ের কাজ সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।