ED Raid: রেশন দুর্নীতির টাকা কি ঘুরপথে মাছ ব্যবসায়? সাতসকালে ধামাখালিতে অভিযান ইডি-র
Ration Scam: সাতসকালে অপারেশনে ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধামাখালির রামপুরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়,ধামাখালি: সাতসকালে অপারেশনে ইডি (ED Raid In Ration Scam))। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধামাখালির রামপুরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ (Sheikh Shahjahan)একাধিক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতির টাকা ঘুরপথে মাছ ব্যবসায় খেটেছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এদিনের অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বাজার ঘির ফেলেন তদন্তকারীরা।
বিশদ...
অভিযান শুরু মাঝরাত থেকে। এই মুহূর্তে বিরাট কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁরা ধামাখালির একাধিক বাজারে অভিযান চালাচ্ছেন বলে খবর। এখনও পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান শুরু হয়নি। আপাতত বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি খুঁজছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। সবকটি বাড়ি চিহ্নিত হয়ে গেলে তার পর তল্লাশি অভিযান শুরু হতে পারে বলে খবর। আরশাদ মিঞাঁ বাজারের দুই মাছ ব্যবসায়ী ইডি-র রেডারে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক। সেই সূত্র ধরে গত ৫ জানুয়ারি, সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতেও এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কিন্তু সে দিন যা যা ঘটেছিল, তার পর থেকে টানা শিরোনামে থেকেছে সন্দেশখালি। সেই ঘটনার পরে আরও একটি বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করে ইডি। তা হল রেশন দুর্নীতির টাকা বিভিন্ন মাছ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে ইডি। এই হাওয়ালার সঙ্গে কারা কারা যুক্ত, কাদের কাছে টাকা পাচার করা হয়েছে, সেই সব জানতেই এদিনেই অভিযান। এর আগে, এই অভিযোগের সত্যতা জানতে কলকাতা ও হাওড়ার দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান করা হয়েছিল। সেখানেই শেখ শাহাজাহানের যোগসূত্র মিলেছিল বলে খবর। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে যে এই সন্দেশখালি-ধামাখালি চত্বরে শেখ শাহজাহানের বেশ কয়েকটি মাছের ভেড়ি রয়েছে। ইডির ধারণা, এই মাছ ব্যবসার মাধ্যমেই রেশন দুর্নীতির বিপুল কালো টাকাকে বৈধ করে বিদেশে পাচার করা হয়ে থাকতে পারে। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতেই আজকের অভিযান।
ইডির উপরে হামলা...
গত ৫ জানুয়ারি রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে রক্তাক্ত ও আহত হন ED-র আধিকারিকরা। শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের রোষের মুখে পড়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। গত মাসে গ্রেফতার করা হয় শেখ শাহজাহানকে। তাকে হেফাজতে পেয়েছে CBI। যদিও সিবিআই তদন্ত আটকাতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খায় তারা। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছিল, সেটিই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট ।
আরও পড়ুন:'সিএএ লাগু হলে মানুষের উপকার, এতে বিজেপির আসনসংখ্যাও বাড়বে', প্রত্যয়ী শান্তনু ঠাকুর