RG Kar Case: RG কর কাণ্ডে TMC সাংসদ সুখেন্দুশেখরের চোখে জল ! 'কী কষ্ট পেয়ে মেয়েটি মারা গিয়েছে, এরপরেও কি তোমরা চুপ থাকবে?..'
TMC MP Sukhendu Shekhar On RG Kar Case: তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখরের চোখে জল! দিল্লিতে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদের
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ফের পথে সুখেন্দুশেখর রায়। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখরের চোখে জল! দিল্লিতে মোমবাতি হাতে প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদের।এদিন তিনি বলেন, 'এতবছরে আমি কখনও দেখিনি, সেই দৃশ্য আমি দেখেছি, সবাই দেখেছেন। ..এই অভূতপূর্ব গণ জাগরণের পিছনে, যে পাশবিক অত্যাচার এবং নারকীয় হত্যাকাণ্ড, একটা লেডি ডাক্তারের উপর কলকাতা শহরের বুকে একটি সরকারি হাসপাতালের বুকে ঘটল, এটা একটা দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়ঙ্কর।'
এদিন সুখেন্দু শেখর বলেন যে, 'যখন লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় রাত জাগবেন। আমরা ঘরে বসে থাকব কী ভাবে?...কী কষ্ট পেয়ে মেয়েটি মারা গিয়েছে, হয়তো এই বার্তা দিয়ে গিয়েছিল এরপরেও কি তোমরা চুপ করে থাকবে? আমরা চুপ করে থাকতে পারি না। কোনও মানুষ চুপ করে থাকতে পারে না...' বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন সুখেন্দুশেখর রায়।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে, প্রাক স্বাধীনতার রাতে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে সমর্থন করেছিলেন। সেই রাতে আর জি করকাণ্ডের প্রতিবাদে নিজের বাড়ির সামনে মঞ্চ বেঁধে ধর্নাতেও বসেছিলেন। বুধবার, আরও এক রাত দখলের আগে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, রাত দখলের সঙ্গেই মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার দখল করুক মানুষ। মর্যাদা নিয়ে বাঁচা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় বর্ণিত মৌলিক অধিকার। বারবার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট সুখেন্দুশেখরের। সেসময় বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, ওকে বলব বাস্তিল দূর্গের ছবি শুধু পোস্ট করলে হবে না। দুর্গের দিকে ধেয়ে আসতে হবে। সিপিএম এর রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন,তৃণমূলের মধ্যে অনেকে আছে, যারা অন্যরকমভাবে ভাবতে পারে, তাদের বলব বেরিয়ে আসুন। নাহলে দোষের ভাগিদার হতে হবে।
আরও পড়ুন, RG কর কাণ্ডে মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা, 'আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম, এত প্রেশার ক্রিয়েট করা হয় যে..'
১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচিকে সমর্থন করে সুখেনদুশেখর রায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, CBI-কে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও CP-কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে হবে কারা, কেন আত্মহত্যার গল্প রটিয়েছিল? কেন হলের দেওয়াল ভেঙে ফেলা হল? কার মদতে রায় এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছিল? কেন ৩ দিন পর স্নিফার ডগ আনা হল? শত শত প্রশ্ন ঘুরছে। ওদের মুখ খোলান।এরপর, তৃণমূল সাংসদকে পরপর দু'বার হাজিরার নোটিস পাঠায় কলকাতা পুলিশ। পাল্টা গ্রেফতারির আশঙ্কা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুখেনদুশেখর রায়। পরে পোস্ট ডিলিট করতে রাজি হলেও, নিজের অবস্থানে অনড়ও থাকেন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।