WB Board Madhyamik Result 2024: কৌতুহল তোমাকে শেখাবে, বাড়াতে হবে জ্ঞান পিপাসা, আগামীর পরীক্ষার্থীদের পরামর্শ চন্দ্রচূড়ের
WBBSE Madhyamik 10th Result 2024: প্রকাশিত হল মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার বেড়েছে।
কলকাতা: মাধ্যমিকে (WB Board Madhyamik Result 2024) প্রথম কোচবিহারের চন্দ্রচূড় সেন। রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। কেমন ছিল ফল জানার মুহূর্ত? কীভাবে এল এই সাফল্য? আগামীর পরীক্ষার্থীদের জন্য তাঁর কী পরামর্শ?
মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড়: বরাবরই মেধাবি ছাত্র চন্দ্রচূড়। মেধাতালিকায় নাম থাকবে তা নিয়েও ছিলেন আশাবাদী ছিলেন তিনি। এই সাফল্য শুধু যে তার কৃতিত্ব নয়, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন চন্দ্রচূড়। প্রথম স্থানাধিকারী পডুয়া মনে করে কৌতুহল থাকলেই শেখা সম্ভব।
কেমন ছিল ফলপ্রকাশের মুহূর্ত?
চন্দ্রচূড় জানাচ্ছে, "যখন সাংবাদিক বৈঠক চলছিল, ঘরে ছিলাম না। উপরে চলে গিয়েছিলাম। নাম ঘোষণার পর বাবা মা ডেকে আনলেন। আপ্লুত মুহূর্ত অবশ্যই।''
কীভাবে প্রস্তুতি?
নিয়মে বাঁধা পড়াশোনায় জোর দেয়নি কোনওদিন। তারপরেও মাধ্যমিকে প্রথম। ডাক্তার হওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য। চন্দ্রচূড়ের কথায়, "পড়াশোনার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা একটা বিষয় ছিল। তবে এমন নয় যে রুটিন বাঁধা নিয়মে চলছি। যখন মনে হত এখন পড়া দরকার পড়তাম। ইচ্ছেমতো পড়েছি। কোনওদিন বাধা ধরা ছিল না যে এই সময়ের মধ্যেই পড়তে হবে। বায়োলজি ভাল লাগে পড়তে। সঙ্গে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি। আপাতত সায়েন্স নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে। ডাক্তার হওয়াই লক্ষ্য।''
তবে এই ফলের কৃতিত্ব তার একার নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছে চন্দ্রচূড়। পরিবার, শিক্ষকরা তাকে নিয়ে যে আশা করেছিলেন তা পূরণ হওয়ায় খুশি সে। তার কথায় "রেজাল্ট বা যেটাকে বলছি মূল্যায়নের পরে প্রাপ্ত নম্বর, সেটা একাকী ছাত্রের উদ্যোগই তা নয় পাশাপাশি বাবা, মা, আত্মীয় স্বজন, গৃহশিক্ষক, স্কুল শিক্ষক প্রত্যেকের প্রত্যাশা এবং আমার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা, অধ্যাবসায় সবকিছুকেই ফলফল হিসেবে ধরব আমার রেজাল্টকে। যদিও মাধ্যমিকই চূড়ান্ত নয়। এরপর আরও পথ চলা বাকি আছে। নিজেকে সার্বিকভাবে প্রস্তুত করা এখন আমার একমাত্র অভীষ্ট। প্রথম পাঁচে থাকব ভাবছিলাম। আমার থেকেও বেশি যাঁরা আমাকে নিয়ে প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁরা ভাবছিলেন। তাঁদের প্রত্যাশা বিফলে যায়নি। আমি আনন্দিত।''
শিক্ষকদের সাহায্য: করোনা পরবর্তীকালে স্কুলমুখী করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন শিক্ষকরা। চন্দ্রচূড়ের কথায় উঠে এল সেই প্রসঙ্গও। সে জানাল, "করোনা অতিমারীকালের তো সাক্ষী আমরা সবাই থেকেছি। এই সময়পর্বের পরে ছাত্রদের স্কুলমুখী হওয়ার প্রবণতা কমে গিয়েছিল। সরকারের প্রচেষ্টাই হোক বা শিক্ষকদের ক্রমাগত উৎসাহ সবকিছু নিয়ে আমরা আবারও স্কুলমুখী হই। স্কুলে শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে আমাদের সাহায্য করতেন। স্কুলের শিক্ষকরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। সবসময় উপদেশ। আমি মনে করি এটা একটা যৌথ ভূমিকা। যেটাতে প্রত্যেকরই অবদান আছে।''
তবেই শুধুই যে পড়াশোনায় মন এমন নয়। ঝোঁক রয়েছে আঁকা থেকে কবিতাতেও। লিখতে ভালবাসে গল্পও। চন্দ্রচূড় বলছে, "পড়াশোনার পাশাপাশি আবৃত্তির চর্চা আছে। যদিও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। গান, আঁকা শিখেছি। গল্প, কবিতা লেখার মতো বিভিন্ন সুকুমার শিল্পকলার সঙ্গে জড়িত। ক্লাস টেনের পড়ার চাপে সবকিছু খুব সমানভাবে সময় দেওয়া হয়নি। তবে আবারও সেসব চালু করার ইচ্ছে আছে।''
আগামীর পরীক্ষার্থীদের জন্য কী বার্তা?
চন্দ্রচূড় মনে করে বিরতি নিয়েই পড়াই শ্রেয়। নিজেও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে বলেই জানাচ্ছে। তার মতে যে কোনও বিষয় সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট থাকতে হবে। একইসঙ্গে থাকতে হবে কৌতুহলও। তার কথায় "যাঁরা মাধ্যমিক দেবে তাঁদের একটা কথাই বলব, কনসেপ্ট তৈরি করতে হবে। শুধুমাত্র মুখস্থ করলে হবে না। আমাদের সময়ের যদি প্রশ্নপত্র দেখা হয়, তাহলে বোঝা যাবে কনসেপ্ট বেসড প্রশ্ন ছিল। আমি যেমন কিছু সহায়িকা বইয়ের সাহায্য নিয়েছি। লিখে লিখে পড়ার অভ্যাসকে গুরুত্ব দিতে হবে। সবথেকে বড় কথা কৌতুহল তোমাকে শেখাবে, যে কী করে জিনিস জানতে হয়। সুতরাং জ্ঞান পিপাসাকে বাড়াতে হবে। আমি ব্রেক লার্নিং মেথডে পড়াশোনা করেছি। মক টেস্টের পর ওয়ার্কশপে অংশ নিই। যেখানে শিক্ষর বুঝিয়েছিলেন ব্রেক লার্নিং মেথডে পড়াই সবথেকে ভাল উপায়। কেননা ম্যারাথন লার্নিংয়ের মতো এক টানা পড়তে থাকলে, সেই পড়া প্রোডাক্টিভ হয় না। কিন্তু টানা ৪০ মিনিট পড়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট বিরতি নিয়ে পড়াটাই শ্রেয় বলে মনে করি।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI