Lata Mangeshkar: লতা মঙ্গেশকরের শেষ ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে রামমন্দিরের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে করা হবে এই বিশেষ কাজ
Ram Mandir Update: রাম মন্দিরে তাঁর কন্ঠ থেকে যাক, এটাই চেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই নেওয়া হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত।

কলকাতা: অসুস্থতার মধ্যেও রামমন্দিরের উদ্বোধনের জন্য গান রেকর্ড করেছিলেন তিনি। শেষ ইচ্ছা ছিল, তাঁর কন্ঠ অংশ হোক রাম মন্দিরের উদ্বোধনের। আর রামমন্দিরের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান শুরু হবে তাঁর কন্ঠ দিয়েই, এমনটাই জানা যাচ্ছে। সঙ্গীতশিল্পীর শেষ রেকর্ডিং ছিল এই রামমন্দিরের জন্যই। আর তাঁর সেই ইচ্ছাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে শ্লোক দিয়েই শুরু হবে রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। 'রাম রক্ষা স্তোস্ত্র'-র একটি অংশ 'মাতা রামো মাতপিতা রামচন্দ্র' -কে ব্যবহার করা হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনের বর্ষপূর্তিতে। এই গানটি, মৃত্যুর ৮ মাস আগে, অত্যন্ত অসুস্থতার মধ্যে রেকর্ড করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শোনা যায়, প্রবল অসুস্থতার মধ্যেও সুরকার ময়ূরেশ পাইকে ডেকে পাঠিয়েছিল তিনি। রাম মন্দিরে তাঁর কন্ঠ থেকে যাক, এটাই চেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তাঁর সেই ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েই নেওয়া হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত।
অতীন্দ্র মিশ্রকে লতা মঙ্গেশকরের এই রেকর্ডিংটি দিয়েছেন উষা মঙ্গেশকর। সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অতীন্দ্র মিশ্র বলছেন, 'সদ্যই আমি উষা মঙ্গেশকর জী-এর কাছ থেকে একটা ফোন পাই। তিনি আমায় বলেন, শ্রীরামের সম্মানে মৃত্যুর আট মাস আগে একটি গান রেকর্ড করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। তিনি বলেছিলেন, যখন মন্দির খুলবে, তখন এই গানটি যেন শ্রীরামচন্দ্রকে অর্পণ করা হয়। আর সেই কারণেই রামমন্দিরের প্রথম বর্ষপূর্তিতে বাজানো হবে এই গান।' 'রাগ সেবা'-র হাত ধরেই শুরু হবে রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান। জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত বাজানো হবে 'রাগ সেবা'। লতা মঙ্গেশকরের বোন উষা মঙ্গেশকরই শুরু করবেন এই রাগ বাজানোর।
১৯৮৯ সালে 'দাদাসাহেব ফালকে' পুরস্কারে সম্মানিত হন লতা মঙ্গেশকর। সঙ্গীতের দুনিয়ায় তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২০০১ সালে ভারত সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'ভারতরত্ন'-এ ভূষিত করে। শুধু দেশেই নয়, ২০০৭ সালে ফ্রান্সও তাঁদের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'অফিসার অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনার' দিয়ে সম্মানিত করেন। ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, ইনদওরে থিয়েটার শিল্পী ও সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকর ও সেবন্তীর কোল আলো করে জন্ম নেন লতা। তাঁর বাকি ভাইবোন মীনা, আশা, ঊষা ও হৃদয়নাথও সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৪২ সালে বাবার মৃত্যুর পর ১৯৪৯ সালে মুম্বই চলে আসেন লতা। এখানে উস্তাদ অমন আলি খানের কাছে 'হিন্দুস্তানি সঙ্গীত'-এর তালিম নেন তিনি। মদন মোহন, রাহুল দেব বর্মন, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলালের মতো তাবড় সঙ্গীতশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন লতা মঙ্গেশকর। লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল জুটির সঙ্গে ৭০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি কিন্তু রাহুল দেব বর্মনের হয়ে ১৯৬০ সালে গাওয়া গানগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায়। ২০০৬ সালে 'রং দে বসন্তী' ছবির 'লুকা ছুপি' গানটি যেমন সঙ্গে সঙ্গে হিট করে যায়। ২০১২ সালে লতা মঙ্গেশকর নিজের মিউজিক লেবেল প্রকাশ করেন, 'এল এম মিউজিক'। তাঁর গাওয়া শেষ গান, ২০১৯ সালের একটি মরাঠি গান।
আরও পড়ুন: Aashiqui 3: 'সারল্যের অভাবে' বাদ তৃপ্তি, কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে এবার তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
