এক্সপ্লোর

বন্ধ রোজগার, নেই ঘুরে দাঁড়ানোর রূপরেখা! লকডাউনের আঁধার থিয়েটারের মঞ্চেও, কবে ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দ, সংশয়ে নাট্যকর্মীরা

আনলক ওয়ান পর্বে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের কাজ। কিন্তু থিয়েটারের মঞ্চের কী অবস্থা? কবে থেকে বিভিন্ন রঙ্গশালায় জ্বলে উঠবে আলো? কী বলছেন বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বরা? টেকনিশিয়ানদেরই বা কী মত? খোঁজ নিল এবিপি আনন্দ।

কলকাতা: করোনা কাঁটাকে সঙ্গে নিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জীবন। রাস্তায় ফের যানবাহনের আনাগোনা। খুলে গিয়েছে অনেক অফিস কাছারিও। রোজকার জীবনে ফিরছে বিনোদনও। আনলক ওয়ান পর্বে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল ধারাবাহিকের শ্যুটিংয়ের কাজ। কোভিড আতঙ্ক তো রয়েছেই। সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই শ্যুটিং ফ্লোরে নামার জন্য ছটফট করছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। কাজ শুরু করে দিতে আর তর সইছে না সিনেমার কলাকুশলীদের। কিন্তু থিয়েটারের মঞ্চের কী অবস্থা? কবে থেকে বিভিন্ন রঙ্গশালায় জ্বলে উঠবে আলো? পর্দা উঠতেই বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় শুরু করবেন বিখ্যাত বা অখ্যাতরা? কী বলছেন নামি নাট্যব্যক্তিত্বরা? টেকনিশিয়ানদেরই বা কী মত? খোঁজ নিল এবিপি আনন্দ।

নির্দেশিকা কোথায়ধন্দে পরিচালক-অভিনেতারা

সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগে সরকারের তরফে তৈরি হয়েছে সুরক্ষা সংক্রান্ত একগুচ্ছ নির্দেশিকা। যদিও থিয়েটার নিয়ে এখনও অবধি কিছু বলা হয়নি। কবে খুলবে থিয়েটার, তা নিয়ে এখনও দিশাহীন পরিচালক, অভিনেতা থেকে শুরু করে কলাকুশলী প্রত্যেকে। এবিপি আনন্দের প্রশ্নের উত্তরে রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্র, কৌশিক সেনদের গলায় কার্যত একই সুর। থিয়েটারকে নিয়ে সরকারের উদাসীনতা, প্রয়োজনীয় সাহায্য না পাওয়া সহ উঠে এল একাধিক অভিযোগ। ‘থিয়েটার নিয়ে থিয়েটারকর্মী ছাড়া আর কেউ ভাবছেন না!’, ক্ষোভ টের পাওয়া গেল রুদ্রপ্রসাদের গলায়। বললেন, ‘সিনেমার সঙ্গে অনেক আর্থিক বিনিয়োগের ব্যাপার থাকে। সেখানে থিয়েটার কেবল অনুভূতি প্রকাশের জায়গা মাত্র! একেবারেই দিন আনি দিন খাই পেশা। এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও কালচারাল পলিসি, কোনও সংগঠন নেই।’ অবশ্য সরকারের দিক থেকে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন চান না বিভাস চক্রবর্তী। বললেন, ‘গাইডলাইন করতে গেলে থিয়েটারে অভিনয়ের খুঁটিনাটি বুঝতে হবে। সেসব মাথায় রেখে গাইডলাইন করা বেশ কঠিন। তবে থিয়েটারের মঞ্চ ফের চালু করা নিয়ে সরকারি চিন্তাভাবনা থাকা উচিত।’ বর্তমান ছবিটা বোঝাতে গিয়ে মনোজ মিত্রের কথায় উঠে এল থিয়েটারের গোড়ার দিকের কথা। বললেন, ‘অতীতে স্টার থিয়েটারের মতো একের পর এক হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতা ও মফঃস্বলের প্রায় সমস্ত মঞ্চ বন্ধ পড়ে রয়েছে। বহু মানুষের পেশা প্রশ্নের মুখে। সমাজে থিয়েটারের স্থান দেখে অভিনেতা হিসাবে লজ্জা হচ্ছে। তবে আমরা এখনও আশা রাখছি ভবিষ্যতে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকার থিয়েটার নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবে।’ বছরের শেষের দিকে নিজের দলকে নিয়ে ফের অভিনয় শুরু করার কথা ভাবছেন কৌশিক সেন। বললেন, ‘আমরা সরকারের অপেক্ষায় বসে নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে আশা করছি নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকেই আবার কাজ শুরু করতে পারব।’ থিয়েটারের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব ধরা পড়ল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কথাতেও। বললেন, ‘বাংলা থিয়েটারের কোনও গিল্ড নেই, কোনও মুখ নেই। কাজেই নেই নাট্যব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগের কোনও সরাসরি মাধ্যম। লকডাউনের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নাট্য অ্যাকাডেমি থেকে থিয়েটারের উদ্দেশে কোনও বার্তা এসে পৌঁছায়নি।’

অন্যদিকে থিয়েটার সংক্রান্ত গাইডলাইন নিয়ে আশার সুর শোনালেন ব্রাত্য বসু। যিনি আবার রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রীও। ব্রাত্য বললেন, ‘সিনেমার শ্যুটিং শুরুর ছাড়পত্র দেওয়া হলেও এখনই হলগুলি খোলার কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। জমায়েত ছাড়া থিয়েটার প্রায় অসম্ভব। তাই পরিস্থিতি আরও কিছুটা স্বাভাবিক হলে সিনেমা হলের সঙ্গেই নাট্যমঞ্চ খোলার কথাও নিশ্চিতভাবে বলবে সরকার।’ করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে ধৈর্য্যের সুর দেবশঙ্কর হালদারের গলায়। বললেন, ‘সরকার নিশ্চয়ই সঙ্গত কারণে এখনও থিয়েটার বন্ধ রাখছে। পরিস্থিতি অনুকূল হলেই থিয়েটারের জন্য গাইডলাইন আসবে বলেই আমার বিশ্বাস। তখন আমরাও নিজেদের কথা জানাতে পারব সরকারকে।’

নেই সরকারি সাহায্যব্যক্তিগত উদ্যোগেই পাশে থাকার বার্তা

করোনা পরিস্থিতিতে থিয়েটারের জন্য এখনও পর্যন্ত আসেনি কোনও সরকারি সাহায্য। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত অগুনতি মানুষের রুজিরুটি প্রশ্নের মুখে। তাই নাট্যব্যক্তিত্বরা নিজেদের উদ্যোগে টাকা তুলে সাহায্য করছেন বিভিন্ন কলাকুশলীদের। কৌশিক সেন বললেন, ‘আমরা কিছু নাট্যকর্মী মিলে ‘সৌভ্রাতৃত্ব’ নামে সংস্থা গঠন করেছি। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গত চার মাস ধরে কেবলমাত্র থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত এমন কলাকুশলী ও দুঃস্থ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে কিছু কিছু আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দিতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত ১৩৫ জনকে সাহায্য করতে পেরেছি আমরা।’ এই সৌভ্রাত্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দেবশঙ্কর, রুদ্রপ্রসাদরাও। এগিয়ে এসেছেন ব্রাত্য বসু, তাঁর সংস্থার নাম ‘ব্রাত্যজন একান্নবর্তী পরিবার’। বললেন, ‘৪০০ জন দুঃস্থ কলাকুশলী ও অভিনেতাকে সাহায্য করেছি আমরা।’ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রুদ্রপ্রসাদ-বিভাসদের সংস্থা ‘নাট্য সংহতি’ও। গোটা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় নাট্যকর্মীদের অর্থ সাহায্য করতে তৈরি হয়েছে ‘জেলা ফান্ড’। এই প্ল্যাটফর্মের অন্যতম উদ্যোক্তা অনির্বাণ বললেন, ‘মার্চ  থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নাট্যকর্মীদের আর্থিক সাহায্য করার চেষ্টা চলছে। ১৭০টি পরিবারকে সাহায্য করতে পেরেছি আমরা। কিন্তু উমপুনের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেবল লকডাউন নয়, উমপুনের জন্য ফের নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকেই।’ কলাকুশলীদের আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে মনোজ মিত্র বললেন, ‘সরকার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেরই থিয়েটারের কথা ভাবা উচিত। কেবল মঞ্চে যাঁরা অভিনয় করেন তাঁরাই নন, মেক আপ আর্টিস্ট থেকে শুরু করে আলো, আবহ, মঞ্চসজ্জার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের মধ্যে অনেকেই পরিযায়ী। থিয়েটার শুরু না হওয়া অবধি কর্মহীন অবস্থায় বসে থাকবেন।’ বিভাস চক্রবর্তীর মতো কেউ কেউ আবার জানালেন, লকডাউনে থিয়েটারের পরিস্থিতি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু মেলেনি কোনও উত্তর। পাশাপাশি জানা গেল, উমপুনের ক্ষয়ক্ষতি সামলাতেও তোলা হয়েছে টাকা।

সামাজিক দূরত্ব মেনে থিয়েটার!

দূরত্ব থাকবে না দর্শকে আর অভিনয়ে, থিয়েটারের মূলমন্ত্র এটাই। গল্পের সঙ্গে একাত্ব করতে হামেশাই দেখা যায় মঞ্চ ছেড়ে একেবারে দর্শকদের মধ্যে নেমে এসেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। কিন্তু অন্তত ২ ফিট সামাজিক দূরত্বের মাপকাঠি বজায় রেখে কী করে সম্ভব অভিনয়? পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক বলছেন, ‘মহড়ার সময় সকল শিল্পীদের ছোট ছোট দলে ভাগ করা সম্ভব হলেও মঞ্চে অভিনয়ের সময় উপস্থিত থাকতে হবে সবাইকেই। ফলে প্রশ্নের মুখে পড়বে দূরত্ববিধি।’ ব্রাত্য বলছেন, ‘থিয়েটারের ভিতরে একটা জীবন্ত ব্যাপার রয়েছে যা মানুষের সাহচর্য্য চায়। দূরত্ববিধি থিয়েটারের ক্ষেত্রে একটা বিশাল বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে।’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেবশঙ্করের দাওয়াই, কমানো হোক অভিনেতা-অভিনেত্রীর সংখ্যা। বললেন, ‘একটি গল্পে মঞ্চে বহু মানুষের উপস্থিতি দেখলে দর্শকদের একটা মানসিক অস্বস্তি হতে পারে। তাই থিয়েটারের সময়সীমা কমিয়ে, অল্পসংখ্যক চরিত্র নিয়ে অভিনয় মঞ্চস্থ করা যেতে পারে।’

প্রেক্ষাগৃহ ভরবে তোসংশয় থাকছেই

সংক্রমণের ভয় নাকি বিনোদন, জিতবে কে? থিয়েটার ফের শুরু হওয়ার কথা আলোচনা করতে গিয়ে এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে সকলের মনে! দেবশঙ্কর বলছেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে তাতে সবচেয়ে জাঁতাকলে পড়েছে থিয়েটার। মানুষের জমায়েত ছাড়া, তাঁদের প্রত্যেকের মানসিক অংশগ্রহণ ছাড়া থিয়েটার অসম্ভব।’ একই আশঙ্কা রুদ্রপ্রসাদ, বিভাস, সকলেরই। মনোজ মিত্রের কথায়, ‘কমার্শিয়াল স্পেসটাই উঠে গিয়েছে। এরপর আদৌ আর থিয়েটার হবে কি না বা হলেও কীভাবে হবে তা একটা বড় প্রশ্ন।‘ সেই সঙ্গে তাঁর কথায় ফের উঠে এল সরকারি সহায়তার কথা। বললেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার থেকে যা টাকা আসে তা কেবল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্য। বাকি কলাকুশলীদের উল্লেখ থাকে না কোথাও। সামগ্রিকভাবে সাহায্য এলে সরকারি মান্যতা পেত থিয়েটার। ফলে বাড়তে পারত দর্শক সংখ্যাও।’ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে অনির্বাণের আশঙ্কা, ‘অনেকটা বড় অংশের দর্শক হয়তো সাময়িকভাবে সরে যেতে পারেন। প্রেক্ষাগৃহ না খুললে আগে থেকে আঁচ করা যাবে না কি হতে চলেছে। তবে আমরা বিদেশের পরিস্থিতি বিচার করে আগামীকে অনুমান করতে পারি মাত্র।’ সকলেই নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছেন সমাধানসূত্র খোঁজার। নাটকের মঞ্চ খুললে কেমন করে তা স্যানিটাইজ করা হবে, দর্শকদের কাছে টিকিটের সঙ্গেই মাস্ক-স্যানিটাইজার পৌঁছে দেওয়া যায় কি না, এমনই নানা পরিকল্পনা ঘোরাফেরা করছে। তা সত্ত্বেও হল ভরবে তো! নাট্যব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে টেকনিশিয়ান, সকলের মনেই দানা বাঁধছে সেই আশঙ্কা।

ভাবনায় মারণ ভাইরাসকরোনাকে নিয়েই স্ক্রিপ্ট

সমাজ ও সময়ের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে থিয়েটার। এবার কি করোনা নিয়েই মঞ্চস্থ হবে নাটক? ইতিমধ্যেই ‘করোনার দিনগুলিতে প্রেম’ নামে আস্ত একটা নাটক লিখে ফেলেছেন ব্রাত্য। ভবিষ্যতে মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনাও রয়েছে। স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি অবস্থায় এই প্রথম নিজে নাটক লিখেছেন কৌশিক। লকডাউনের মানসিক টানাপোড়েনের ছবি সেই নাটকে পাওয়া যাবে বলে আভাস দিলেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি নাড়া দিয়েছে সমাজের সমস্ত স্তরেই। কাজেই করোনাকে আলাদা করে নাট্যমঞ্চে তুলে ধরা অনেক সময় ‘চর্বিতচর্বণের মতো’ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনির্বাণ। বললেন, ‘এই খারাপ পরিস্থিতি পেরিয়ে মানুষ আবারও মঞ্চে তার ছায়া দেখতে চায়, নাকি কেবল ভালো সময়ের গল্প শুনতে চায় সেটাই দেখার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে পৃথিবীর দুর্দশার কথা ভবিষ্যতে বলতে পারে থিয়েটার।’ অন্যদিকে বিভাস বললেন, ‘বাঙালির প্রবৃত্তিই হল যে কোনও খারাপ দিনকে ভুলে যাওয়া। তাই করোনা পরিস্থিতি মঞ্চস্থ হবে, নাকি সকলে ভুলে যেতে চাইবেন, ধন্দ থাকছে।’ তবে বর্তমান পরিস্থিতির ছাপ থিয়েটারের বিষয় ভাবনার ওপর পড়বে বলেই বিশ্বাস করেন রুদ্রপ্রসাদ, দেবশঙ্কররা।

বন্ধ উপার্জনঅপেক্ষায় কলাকুশলীরা

কেবল অভিনেতা-অভিনেত্রী নন, একটি নাটকের সফল পরিবেশনা করতে সাহায্য করেন কলাকুশলীরাও। আলোকসজ্জা, মেক আপ, আবহ সঙ্গীত, মঞ্চসজ্জার সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা এখন থিয়েটার চালু হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন। দীর্ঘদিন ধরে থিয়েটারের মঞ্চের আলোকসজ্জা করে আসছেন সাধন পাড়ুই। বললেন, ‘ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বুঝতে পারছি না। আমাদের প্রত্যেক শো পিছু উপার্জন হয়। কিন্তু সেই মার্চ মাস থেকে বাড়িতে বসে আছি।’ আরেক আলোকশিল্পী দীপঙ্কর দে বলছেন, ‘খুব বেশি হলে প্রতি শো-এর পরে ৫০০ টাকা হাতে থাকে। অভিনেতারা মাসিক সাহায্য করছেন, কিন্তু প্রয়োজনে ধার করে সংসার চালাতে হচ্ছে।’ মঞ্চসজ্জার কাজ, সঙ্গে অভিনয়ও করেন দেবব্রত মাইতি। বললেন, ‘প্রচুর কাজ আটকে পড়ে রয়েছে। আমার সঙ্গে যে ছেলেরা কাজ করত তারা গ্রামে ফিরে গিয়ে মাছ ধরার কাজ করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় মাসোহারাও।’

 লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে ফিরবে কি মঞ্চকে জড়িয়ে আবর্তিত হওয়া জীবনের পরিচিত, স্বাভাবিক ছন্দ? থার্ড বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আবার কবে দর্শকদের সামনে উঠে যাবে মঞ্চের পর্দা? উত্তর হাতড়ে চলেছেন থিয়েটার জগতের সকলেই।

আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
Advertisement

সেরা শিরোনাম

RG Kar Case Hearing: আজও হল না শুনানি, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোল আর জি কর মামলা
আজও হল না শুনানি, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোল আর জি কর মামলা
Kamala Harris: দোরগোড়া থেকে ফিরে আসতে হল, পদ্ম ফুটল না হোয়াইট হাউসে, ট্রাম্পের সঙ্গে কেন পেরে উঠলেন না কমলা?
দোরগোড়া থেকে ফিরে আসতে হল, পদ্ম ফুটল না হোয়াইট হাউসে, ট্রাম্পের সঙ্গে কেন পেরে উঠলেন না কমলা?
Donald Trump : 'দ্বিতীয় ইনিংস' শুরুর পথে ট্রাম্প, ভারতের লাভ না ক্ষতি ?
'দ্বিতীয় ইনিংস' শুরুর পথে ট্রাম্প, ভারতের লাভ না ক্ষতি ?
Donald Trump Victory: দীপাবলিতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট, ট্রাম্পের জয়ে কি অস্বস্তি বাড়ল বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের?
দীপাবলিতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট, ট্রাম্পের জয়ে কি অস্বস্তি বাড়ল বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের?
Advertisement
ABP Premium

ভিডিও

Kunal Ghosh: জুনিয়র চিকিৎসকদের ফের নিশানা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষেরMithun Chakraborty: উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মিঠুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। ABP Ananda LiveUttar Dinajpur: খুন রেশন ডিলার, পলাতক অভিযুক্ত ২ গ্রাহক। ABP Ananda LiveRG Kar News: সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গেল আর জি কর মামলার শুনানি, ক্ষুব্ধ জুনিয়র চিকিৎসকরা

ফটো গ্যালারি

ব্যক্তিগত কর্নার

সেরা প্রতিবেদন
সেরা রিল
RG Kar Case Hearing: আজও হল না শুনানি, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোল আর জি কর মামলা
আজও হল না শুনানি, সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোল আর জি কর মামলা
Kamala Harris: দোরগোড়া থেকে ফিরে আসতে হল, পদ্ম ফুটল না হোয়াইট হাউসে, ট্রাম্পের সঙ্গে কেন পেরে উঠলেন না কমলা?
দোরগোড়া থেকে ফিরে আসতে হল, পদ্ম ফুটল না হোয়াইট হাউসে, ট্রাম্পের সঙ্গে কেন পেরে উঠলেন না কমলা?
Donald Trump : 'দ্বিতীয় ইনিংস' শুরুর পথে ট্রাম্প, ভারতের লাভ না ক্ষতি ?
'দ্বিতীয় ইনিংস' শুরুর পথে ট্রাম্প, ভারতের লাভ না ক্ষতি ?
Donald Trump Victory: দীপাবলিতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট, ট্রাম্পের জয়ে কি অস্বস্তি বাড়ল বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের?
দীপাবলিতেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট, ট্রাম্পের জয়ে কি অস্বস্তি বাড়ল বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের?
Abhishek Banerjee: মমতার পর অভিষেকই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী: কুণাল, 'তৃণমূলে দিদি এখন বোঝা', প্রতিক্রিয়া অধীরের
মমতার পর অভিষেকই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী: কুণাল, 'তৃণমূলে দিদি এখন বোঝা', প্রতিক্রিয়া অধীরের
Narendra Modi : বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা একসঙ্গে কাজ করব' ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা মোদির
'বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা একসঙ্গে কাজ করব' ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা বার্তা মোদির
Donald Trump : 'মোদি ও ট্রাম্প একসঙ্গে ...' ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের আবহেই বার্তা রিপাবলিকান নেতার
'মোদি ও ট্রাম্প একসঙ্গে ...' ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের আবহেই বার্তা রিপাবলিকান নেতার
US Presidential Election Results 2024: যেচে পড়ে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছেন, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইনিংসের কারিগর কি ইলন মাস্ক?
যেচে পড়ে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছেন, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ইনিংসের কারিগর কি ইলন মাস্ক?
Embed widget