‘ভারতে না গিয়েও ঘরে বসেই সেদেশের আধার, ভোটার, পাসপোর্ট পেয়ে যায় বাংলাদেশিরা’, ফেসবুকে বিস্ফোরক তসলিমা
১৮ ডিসেম্বর লেখা ওই ফেসবুক পোস্টে, এক বাংলাদেশি হিন্দুর সঙ্গে সাম্প্রতিকে হওয়া একটি কথোপকথনের অংশ তুলে ধরেন তসলিমা।
নয়াদিল্লি: ফের বিস্ফোরক দাবি করলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন। একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের প্রচুর হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে ভারতীয় রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ও পাসপোর্ট রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, সেগুলি তারা ভারতে কখনও না এসে বাংলাদেশে বসে বসেই পেয়ে গিয়েছেন।
১৮ ডিসেম্বরের ওই ফেসবুক পোস্টে এক বাংলাদেশি হিন্দুর সঙ্গে সাম্প্রতিক একটি কথোপকথনের অংশ তুলে ধরেন তসলিমা। লেখিকার দাবি, তাঁর সঙ্গে পূর্ব-পরিচিত এক বাংলাদেশি হিন্দুর কথা হচ্ছিল। সেই সময় ওই ব্যক্তি তাঁর কাছে স্বীকার করেন, ভারতে না গিয়েও তিনি ঘরে বসেই ভারতের রেশন কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও পাসপোর্ট পেয়ে গিয়েছেন।
ফেসবুকে তসলিমা লেখেন, ওই ব্যক্তি তাঁর কাছে আরও দাবি করেন, শুধু তিনিই নন, তাঁর মতো বহু বাংলাদেশের কাছেই না কি এইসব রয়েছে। পোস্টে তসলিমা লেখেন, ‘বাংলাদেশে আমার এক পরিচিত হিন্দুর কাছে আছে ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড। সে কিন্তু ভারতে কখনও আসেনি।’
পোস্টে তসলিমা লিখছেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন, এটা কী করে সম্ভব? তসলিমার দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁকে জানান, লোক আছে। ওদের টাকা দিলেই কাজ হয়ে যাবে। তসলিমা ওই পোস্টে যোগ করেন, ভারতের রেসিডেন্স পারমিট পেতে তাঁকে পরিশ্রম করতে হয় যেখানে, সেখানে অনেকে বাংলাদেশে থেকেই সব কিছু পেয়ে যাচ্ছে!
তসলিমা লেখেন, ‘জিজ্ঞেস করেছিলাম, এ কী করে সম্ভব? বললো, শুধু আমার নয়, অনেকেরই আছে। ভারতের পাসপোর্টও আছে। বললাম, ভারতে না গিয়েই? মাথা নাড়ল, হ্যাঁ না গিয়েই। বাংলাদেশে বসে এসব কী করে পেয়েছেন? উত্তর পেলাম, লোক আছে, টাকা দিলেই পাওয়া যায়।’
এরসঙ্গেই লেখিকার প্রশ্ন, নাগরিকত্বের জন্য কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করছে মোদি সরকার। অথচ, এখানে এত কিছু করার প্রয়োজনই নেই। কারণ, বাংলাদেশি হিন্দুরা এমনিতেই ভারতীয় কার্ড পেয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বছর বছর টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট পেতে আমার জান বেরিয়ে যায়, আর দিব্যি বাংলাদেশের ঘরে বসে মানুষ পেয়ে যেতে পারে ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, এমন কী পাসপোর্টও। বলি, নাগরিকত্বের হাজার কোটি টাকা অন্য কোনও জরুরি খাতে খরচ করলে কি ভালো হয় না?’