Election Commissioners Appointment Bill: বাদ পড়লেন প্রধান বিচারপতি, ক্ষমতা বাড়ল মোদি সরকারের, ‘বিরোধীশূন্য’ লোকসভায় পাস নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি বিল
Parliament Winter Session: এর আগে, সংসদের বাদল অধিবেশনেও বিলটি পাস করানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সময়ের অভাবে সেই সময় তা সম্ভব হয়নি।
![Election Commissioners Appointment Bill: বাদ পড়লেন প্রধান বিচারপতি, ক্ষমতা বাড়ল মোদি সরকারের, ‘বিরোধীশূন্য’ লোকসভায় পাস নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি বিল Bill to appoint top three election commissioners passed Lok Sabha after most Opposition MPs suspended Election Commissioners Appointment Bill: বাদ পড়লেন প্রধান বিচারপতি, ক্ষমতা বাড়ল মোদি সরকারের, ‘বিরোধীশূন্য’ লোকসভায় পাস নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি বিল](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/12/21/f2d5ed6157cad9bba996ce8187eef2591703148947068338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি বিল ২০২৩ পাস হয়ে গেল লোকসভায়। কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় বিল পাস করিয়ে নিল কেন্দ্র। আর আগে, চলতি মাসের শুরুতে রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে ওয়াকআউট করেছিল বিরোধীরা। এবার লোকসভাতেও তিন জন নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তির বিল পাস হয়ে গেল। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই এবার সেটি আইন বলে গৃহীত হবে। (Election Commissioners Appointment Bill)
এর আগে, সংসদের বাদল অধিবেশনেও বিলটি পাস করানোর চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সময়ের অভাবে সেই সময় তা সম্ভব হয়নি। শীতকালীন অধিবেশনে শতাধিক বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময় কার্যত বিরোধীশূন্য লোকসভায় বিলটি পাস করিয়ে নেওয়া হল। এর ফলে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষমতা পুরোপুরি মোদি সরকারের হাতে উঠে গেল। (Parliament Winter Session)
এত দিন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের কমিটিতে তিন সদস্য থাকতেন। তাঁদের নিয়োগ, কার্যকাল সংক্রান্ত শর্তাবলী সই কমিটিই ঠিক করত। ওই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা থাকতেন। তাঁরাই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতেন। কিন্তু নয়া বিলে তিন সদস্যের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। তাঁর জায়গায় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বিলটি নিয়ে গোড়া থেকেই বিতর্ক। নির্বাচন কমিশনের উপরও মেদি সরকারি নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছে বলে অভিযোগ ওঠে। এতদিন যে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্তি কমিটি ছিল, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতই গৃহীত হতো। প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে, শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতাকে রেখে, সরকারের সদস্য বাড়ানোর ফলে, একপেশে সিদ্ধান্তই গৃহীত হবে বলে মত বিরোধীদের।
শুধু তাই নয়, এই বিলটি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। কারণ এ বছর মার্চ মাসেই বিচারপতি কেএম জোসেফ নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটিই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে পারে। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নিরপেক্ষতার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু নয়া বিলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া থেকে আদালতকে সম্পূর্ণ ভাবেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বর্তমান এবং প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে নিজ নিজ কার্যকালে ঘটানো কোনও কাজ বা মন্তব্য নিয়ে, আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না বলেও উল্লেখ রয়েছে বিলটিতে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)