Delhi Heatwave: রাজধানী যেন 'অগ্নিকুণ্ড'! ভয়ঙ্কর তাপপ্রবাহে দিল্লিতে বলি ৫০
Heatwave in Delhi: এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দিল্লি জুড়ে হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। গত দু'দিনে আরএমএল হাসপাতালে ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।
নয়া দিল্লি: তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়েছে অনেকদিন আগেই। পারদের হাফ সেঞ্চুরির পারে এবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দিল্লিতে। গত ৪৮ ঘণ্টায় রাজধানীতে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, প্রবল তাপপ্রবাহের জেরে হিটস্ট্রোক-জনিত মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে। এমন গরমের দাপট চলতে থাকলে হয়তো মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কাপ্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তীব্র তাপপ্রবাহের বলি ৫০ জনের মৃত্যু দাবদাহেই কি না তা অবশ্য নিশ্চিত করেননি পুলিশ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের মতে, বুধবার ইন্ডিয়া গেটের কাছে চিলড্রেনস পার্কে ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। ঠিক কী কারণে মৃত্যু, তা জানার জন্য ময়নাতদন্ত করা হবে।
পিটিআই সূত্রে খবর, গৃহহীনদের জন্য কাজ করা একটি এনজিও, সেন্টার ফর হলিস্টিক ডেভেলপমেন্টের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১১ থেকে ১৯ জুন তাপপ্রবাহের কারণে দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ১৯২ জন আশ্রয়হীনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দিল্লি জুড়ে হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। গত দু'দিনে আরএমএল হাসপাতালে ২২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। ১২ থেকে ১৩ জন রোগী বর্তমানে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছে বলেই খবর।
আরও পড়ুন, অবিরাম বৃষ্টিতে বাড়ছে তিস্তার জল, ধস আশঙ্কায় ঘুম উড়ছে পাহাড়ের
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়েছে, রোগীদের কোনও কোমর্বিডিটি ছিল না। যারা তাপপ্রবাহজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রাথমিকভাবে তাঁদের শরীরে প্রায় ১০৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। অন্য কোনও রোগ প্রাথমিকভাবে ধরা পড়েনি। ফলে তাদের হিটস্ট্রোকজনিত কারণ হিসেবেই দেখানো হয়েছে। দিল্লি সরকারের একটি কমিটি আছে যারা পরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
হিটস্ট্রোকে যারা আক্রান্ত তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের তরফে?
জানান হয়েছে, ইতিমধ্যেই দিল্লির এই হাসপাতালে হিটস্ট্রোক ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। রোগীরা প্রথমে ভর্তি হলে তাঁদের ইউনিটে নিয়ে এসে কুলিং প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। রোগীদের প্রথমে বরফ জলে স্নান করানো হয়। দেহের তাপমাত্রা ১০২ ডিগ্রি নিচে নামানো হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণ চলে। স্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে তাঁদের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। ভর্তি হওয়া রোগীদের বেশিরভাগই শ্রমিক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে