(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ED Kejriwal: আবগারি দুর্নীতিতে মূলচক্রী কেজরিওয়ালই, দাবি ইডি-র
Arvind Kejriwal: ইডির অভিযোগ, বিজয় নায়ার, মণীশ সিসৌদিয়া ও সাউথ গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের আর্থিক স্বার্থ সুনিশ্চিত করতেই এই কাজ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর সঙ্গী-সাথীরা।
নয়াদিল্লি: দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Delhi excise policy case) মূল মাথা (kingpin) এবং প্রধান ষড়যন্ত্রকারী (key conspirator) হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালই (Delhi Chief Minister Arvind Kejriwal)। জেলবন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতেই এই দাবিই করা হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র পক্ষ থেকে। আর এই দুর্নীতিতে তাঁর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) অন্যান্য মন্ত্রী, নেতা-নেত্রী-সহ আরও অনেকে।
শুক্রবার ধৃত অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির আদালতে তোলা হলে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে ইডির আইনজীবী দাবি করেন যে আপ-এর সুপ্রিমো ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন এবং আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতি করেছিলেন কিছু বিশেষ মানুষকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য। কিছু মদ ব্যবসায়ীকে এই আবগারি নীতির মাধ্যমে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বদলে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থও সুরক্ষিত করেছিলেন তিনি। তদন্ত করতে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা তার বিস্তারিত প্রমাণ পেয়েছেন বলেও আদালতে উল্লেখ করা হয়।
ইডির অভিযোগ, বিজয় নায়ার, মণীশ সিসৌদিয়া (Manish Sisodia) ও সাউথ গ্রুপের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের আর্থিক স্বার্থ সুনিশ্চিত করতেই এই কাজ করেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর সঙ্গী-সাথীরা। আর তাই সংস্থার তরফে বলা হয়, শুধুমাত্র আম আদমি পার্টি নয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালও পিএমএলএ (PMLA)-এর ৪ নং ধারা অনুযায়ী দোষী। আর তাঁকে পিএমএলএ-এর ৭০ ধারায় দোষীসাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হোক।
বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ED। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টা আগেই রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়েও আদালত থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কেজরিওয়ালকে। আদালত রক্ষাকবচ দিতে রাজি না হওয়ার ঠিক পরপরই কেজরিওয়ালের বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা এবং দিল্লি পুলিশের একটি টিম। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকেই ফোন কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর। আর রাতেই করা হয় গ্রেফতার।
শুক্রবার কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিতে আদালতে যে রিম্যান্ড আবেদন জমা দেয় ED। তাতে কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতির 'মূল যড়যন্ত্রকারী' বলে উল্লেখ করা হয়। জেলবন্দি মণীশ সিসৌদিয়া, কে কবিতার সঙ্গে কেজরিওয়ালের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। মদ নীতি ঠিক করা থেকে গোটা প্রক্রিয়ায় কেজরিওয়াল সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে দাবি করে। যদিও আদালতে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আবগারি দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে তাতে কোনও ভাবে যুক্ত নন তিনি। ED-র হাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই।
আরও পড়ুন: Delhi Liquor Case: নির্বাচনী বন্ড মারফত আবগারি দুর্নীতির টাকা বিজেপি-তে, নথি তুলে ধরে দাবি AAP-এর