Governor Jagdeep Dhankar : শুভেন্দুকে কেন নেতাই যেতে বাধা ? রিপোর্ট-সহ মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব রাজ্যপালের
Governor Jagdeep Dhankar wants report : শুক্রবারই একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী...

অনির্বাণ বিশ্বাস, সৌমিত্র রায়, কলকাতা : শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) কেন নেতাই (Netai) যেতে দেওয়া হল না ? কারণ জানতে চেয়ে লিখিত রিপোর্ট সহ মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল (Governor)। ১০ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ দুই আধিকারিককে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া।
শুক্রবারই একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না! আবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হল। আদালতের নির্দেশের পরেও শুভেন্দু অধিকারীকে কেন নেতাই যেতে দেওয়া হল না ? এই প্রশ্ন তুলে লিখিত রিপোর্ট সহ মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে পুলিশ-প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিককে উপস্থিত হতে বলেছেন তিনি।
নেতাই যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যা হয়েছে, গোটা ঘটনাকে জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন জগদীপ ধনকড়। শুক্রবার শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে নেতাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েও সেখানে পৌঁছতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে থমকাতে হয় বিরোধী দলনেতাকে। লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের কাছ থেকে তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
আরও পড়ুন ; নন্দীগ্রামে 'শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস' পালন ঘিরে উত্তেজনা, শুভেন্দুকে ‘কটূক্তি’ তৃণমূল কর্মীদের
ঘটনার উল্লেখ করে শুক্রবারই রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে, যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের চোখে বিচার বিভাগেরও কোনও গুরুত্ব নেই।
এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার কোতুলপুরে আত্মঘাতী কৃষকের বাড়ি যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, নেতাইয়ে আমাকে আটকানো হতে পারে। এটা অনুমান করে ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের কাছে ৭ জানুয়ারি বার্ষিক সফরের জন্য আগাম অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি (পুলিশ সুপার) আমার মেলের জবাব দেননি। বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই। মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, আমার গতিবিধিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে আমাকে সেফ প্যাসেজ দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করবে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি আলাদা। রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাজ্য পুলিশই আমার পথ আটকেছে।
বিরোধী দলনেতার এই চিঠি ট্যুইট করে রাজ্যের পরিস্থিতিকে জরুরি অবস্থার সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্যপাল। সেই সঙ্গে সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে লিখিত রিপোর্ট সহ মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে হাজির হতে বলেছেন জগদীপ ধনকড়।
তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যে করে হোক বিজেপিকে আটকাতে হবে। কারণ রাজ্যে তো আর কেউ বিরোধী নেই। শহিদ বেদিতে তো যে কোনও কেউ মালা দিতে পারে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা, পরিবহণ মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, আগে তো অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদির সহায়তা নিয়ে চলতে হচ্ছিল রাজ্যপালকে। এবার কি শুভেন্দুর সহায়তা নিয়ে চলতে হচ্ছে ? নাকি শুভেন্দুকে রাজ্যপালের সাহায্য নিয়ে চলতে হচ্ছে ?
সব মিলিয়ে আবার সেই নবান্ন Vs রাজভবন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
