Co-operative Bank Case:‘স্পেশাল অডিট নয়’, কাঁথি কো-অপারেটিভ মামলায় স্বস্তি শুভেন্দুর
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল।
রুমা পাল ও সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই ব্যাঙ্কেরই চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধেও। আজ রাজ্যের নির্দেশের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, এখনই স্পেশাল অডিটের প্রয়োজন নেই।
কাঁথি কো-অপারেটিভ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর স্বস্তি। রাজ্যের স্পেশাল অডিটের নির্দেশে আপাতত স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল। নিয়ম লঙ্ঘিত করে ঋণ দেওয়া,বেআইনিভাবে কর্মী নিয়োগের মতো অভিযোগ ওঠে।
এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের স্পেশাল অডিটের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। । কিন্তু তার বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় ব্যাঙ্কের তরফে। এদিন যে মামলার শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতি শম্পা সরকার বলেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের তরফে নিয়মিত অডিট রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। তাই এখনই কোনও স্পেশাল অডিট প্রয়োজন নেই।
পাশাপাশি এদিন মামলার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এর আগে তিনি ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। শুভেন্দু তৃণমূলে থাকা কালে পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কে অধিকারী পরিবারের প্রভাব ছিল। মন্ত্রী পদ ছেড়ে ও বিধায়ক পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দান করেছিলেন কাঁথির অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরাল আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এরপর বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে ভোটে নন্দীগ্রাম আসনে দাঁডিয়েছিলেন শুভেন্দু। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে লড়াই করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনে ওই আসনে জয়ী হন শুভেন্দু। তিনি বর্তমানে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। নন্দীগ্রাম আসনের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।