![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
South 24 Parganas: সংগ্রামপুর বিষমদকান্ডে আমৃত্যু হাজতবাসের সাজা খোঁড়া বাদশার
২০১১ সালে সংগ্রামপুরে বিষমদে মৃত্যু হয় ১৭২ জনের
![South 24 Parganas: সংগ্রামপুর বিষমদকান্ডে আমৃত্যু হাজতবাসের সাজা খোঁড়া বাদশার South 24 Parganas Sangrampur 2011 Hooch tragedy case main convict Khonra Baadshah handed lifer till death punishment Alipore Court South 24 Parganas: সংগ্রামপুর বিষমদকান্ডে আমৃত্যু হাজতবাসের সাজা খোঁড়া বাদশার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/08/02/29632ffcf77cd77794401baa6d7e1d86_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
প্রকাশ সিনহা ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: একদশক পর সংগ্রামপুর বিষমদকান্ডে দোষী সাব্যস্ত খোঁড়া বাদশার আজ সাজা ঘোষণা করল আলিপুর আদালত। খোঁড়া বাদশাকে আমৃত্যু হাজতবাসের সাজা দিয়েছে আলিপুর আদালত।
এর আগে, শনিবার খুন, গুরুতর ক্ষতি করা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির চারটি ধারায় এবং বেঙ্গল এক্সাইস অ্যাক্টের একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। তবে তাঁর সাত সহযোগী প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছেন।
এদিন আদালতে নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা বলেন, বাড়িতে আমার ৪ সন্তান রয়েছে। আর কেউ নেই। আর কোনওদিন এই ব্যবসা করব না। বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায় আদালতের কাছে লঘু সাজার আবেদন করে খোঁড়া বাদশা।
পাল্টা, সরকারি আইনজীবী এই মামলাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে খোঁড়া বাদশার মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেন। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আদালত দোষীর আমৃত্যু হাজতবাসের নির্দেশ দেয়।
২০১১ সালে সংগ্রামপুরে বিষমদে মৃত্যু হয় ১৭২ জনের। প্রায় এক দশক ধরে মামলা চলার পর শেষপর্যন্ত খোঁড়া বাদশার সাজা হওয়ায় খুশির হাওয়া সংগ্রামপুরে।
নেশার মাত্রা বাড়াতে মিথাইল অ্যালকোহল ও বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হত মদে। সেই বিষমদ কেড়ে নেয় ১৭২ জনের প্রাণ। ১০ বছর আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া, বিষমদকাণ্ডের রায় ঘোষণা করল আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত।
৯ বছরের বেশি ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর শনিবার আদালত দোষী সাব্যস্ত করে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশাকে। খুন, গুরুতর ক্ষতিসাধন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির চারটি ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বেকসুর খালাস হয়েছেন সাতজন।
২০১১-র ডিসেম্বরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট, উস্তি, মন্দিরবাজার-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদে খেয়ে শুরু হয় মৃত্যুমিছিল।
এরপরই জনরোষ আছড়ে পড়ে মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার বাড়িতে। তার মদের ভাটি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ দল গঠন করে তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। এরপর খোঁড়া বাদশার একের পর সহযোগী ধরা পড়লেও, মূল চক্রী ছিলেন অধরা।
মাসখানেক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পর, আত্মসমর্পণ করেন খোঁড়া বাদশা। খোঁড়া বাদশার বিরুদ্ধে খুন, গুরুতর ক্ষতিসাধন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির চারটি ধারায় এবং বেঙ্গল এক্সাইস অ্যাক্টের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর শেষ পর্যন্ত খোঁড়া বাদশা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় খুশির হাওয়া সংগ্রামপুরে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)