Sunita Williams: সামান্য এদিক ওদিক হলেই বিপদ, বাতাসে মিলিয়ে যেতে পারেন সুনীতা, বাড়ছে আশঙ্কা
NASA News: আমেরিকার মিলিটারি স্পেস সিস্টেমস-এর প্রাক্তন কম্যান্ডার রুডি রিডল্ফি সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে বড় বিপদের কথা জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: মাত্র আট দিনের অভিযানে গিয়ে দু'মাস ধরে মহাকাশে আটকে সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের আগে তাঁদের ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. তাই NASA-র গবেষণায় সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা গিয়েছে। কারণ মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। আর এই পরিস্থিতিতে আরও বড় বিপদের ইঙ্গিত মিলছে। (Sunita Williams)
আমেরিকার মিলিটারি স্পেস সিস্টেমস-এর প্রাক্তন কম্যান্ডার রুডি রিডল্ফি সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে বড় বিপদের কথা জানিয়েছেন। যে বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চেপে মহাকাশে রওনা দেন সুনীতা এবং ব্যারি, তাতে চেপে পৃথিবীতে তাঁদের ফেরায় বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুডি। তাঁর মতে, বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটি কী অবস্থায় রয়েছে, তার উপরই সুনীতা এবং ব্যারির নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নির্ভর করছে। (NASA News)
রুডির কথায়, "ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফেরার মতো উপযুক্ত অবস্থায় থাকলে ভাল। সেক্ষেত্রে সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে সম্পন্ন হতে পারে। কিন্তু তা যদি না হয়, সেক্ষেত্রে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢাক্কা খেয়ে, জ্বলন্ত অবস্থায় মহাকাশে ফিরে যেতে পারে মহাকাশযানটি। খাড়া অবস্থায় মহাকাশযানটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে গেলে, তার বর্মটি নষ্ট হয়ে গিয়ে বিপর্যয় নেমে আসবে। ঘর্ষণের ফলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে মহাকাশযানটি। সেই সঙ্গে কার্যত বাষ্পীভূত হয়ে উবে যেতে পারেন সুনীতা এবং ব্যারি।"
বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটির অবস্থান সঠিক না হলে কী কী বিপদ হতে পারে, তা-ও জানিয়েছেন রুডি। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমত, থ্রাস্টার বিকল হলে মহাকাশে ছিটকে যেতে পারে মহাকাশযানটি। তাতে মাত্র ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন বেঁচে থাকবে সুনীতা এবং ব্যারির কাছে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধাক্কা খেয়ে মহাকাশে জ্বলন্ত অবস্থায় ছিটকে যেতে পারে। খাড়া ভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার চেষ্টা করলে মহাকাশযান সমেত বাতাসে মিশে যেতে পারেন সুনীতা এবং ব্যারি।
বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানটিতে গোলযোগ দেখা দেওয়াতেই পৃথিবীতে ফেরা হচ্ছে না সুনীতা এবং ব্যারির। হিলিয়াম চুঁইয়ে পড়ার পাশাপাশি, থ্রাস্টার চালু করা নিয়েও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। ফলে ওই মহাকাশযানে চেপে পৃথিবীতে ফেরা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না তাঁদের। সেই নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে সম্প্রতি NASA জানিয়েছে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের আগে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরা সম্ভব নাও হতে পারে। সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে ফেরাতে বিকল্প ভাবনাও চলছে। ইলন মাস্কের SpaceX সংস্থার সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলেও খবর। আপাতত মহাকাশে গবেষণামূলক কাজে এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিযুক্ত রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি।