Covid Situation: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, পরিস্থিতি সামলাতে বিধি মানায় জোর চিকিৎসকদের
Covid Situation: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, গত ৩১ মার্চ, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ তুলে দেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে, কোভিডবিধি পালনে দেখা দিয়েছে শিথিলতা।
সন্দীপ সরকার, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও আবীর দত্ত, কলকাতা: দেশে ফের করোনার (Corona) বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। অথচ এখনও বহু সংখ্যক মানুষের মধ্যে নেই সচেতনতা। পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে কোভিড বিধি (Covid Restrictions)। এই উদাসীনতাই ফের মানুষকে বড়সড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামলাতে বিধি মানায় জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বাড়ছে করোনার দাপট, কমছে সচেতনতা
দেশে ফের দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু’সপ্তাহে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দেড়শো শতাংশ। এই সময়কালে মৃত্যুর হার প্রায় দেড় গুণ বেড়েছে। আর এতেই প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, গত ৩১ মার্চ, রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ তুলে দেয় রাজ্য সরকার। তারপর থেকে সময় যত এগিয়েছে, কোভিডবিধি পালনে দেখা দিয়েছে শিথিলতা। মাস্ক ছাড়াই পথে বেরিয়েছে মানুষ, বাজারে থিকথিকে ভিড় জমিয়েছে।
শোভাবাজার, শিয়ালদা স্টেশন, হাজরা, পার্ক সার্কাস হোক কী, ধর্মতলা। কলকাতার সর্বত্রই ছবিটা প্রায় একই রকম। রেল স্টেশন চত্বর, শপিং মল হোক বা, বাজার এলাকা, জনবহুল এলাকাগুলিতে দেখা গেল বিধি না মানার চেনা ছবি।
বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ নিউমার্কেটে দেখা গেল থিকথিকে ভিড়। কিন্তু বেশিরভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। সহ নাগরিকদের একাংশের এই বেপরোয়া মনোভাবে আশঙ্কায় চিকিৎসক মহল।
চিকিৎসক ধীমান গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, 'অবশ্যই নিয়ম মানার সময় এসেছে, মাস্কের ব্যবহার ও স্যানিটাইজার ফেরাতে হবে। কোভিড হলে কারও ক্ষেত্রে স্থায়ী সমস্যা হয়েছে, তাঁর ফের কোভিড হলে আরও খারাপ হতে পারে, সেকথা মাথায় রেখেই ব্যবহার করা উচিত।'
সংক্রমণ রুখতে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা দেশে এখনও পর্যন্ত আড়াই কোটির বেশি মানুষ এই ডোজ নিয়েছেন। রাজ্যের ক্ষেত্রে শনিবার পর্যন্ত এই সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে ২৩ লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনেশন আরও বাড়ানো উচিত বলেই মত দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলছেন, 'মাস্ক ও ভ্যাকসিনেশন দরকার। আমরা যেমন মশার দাপট বাড়লে মশারি টাঙাই তেমনি, করোনা বাড়লে আবার মাস্কের অভ্যাস করতে হবে। সঙ্গে ভ্যাকসিনেশন। এখন ১৮-৬০ বুস্টার ডোজ ২ শতাংশ হয়েছে দেশে। এটা করলে হবে না, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।'
বিপদের আঁচ মিলছে এখন থেকেই। কিন্তু, যেভাবে বহু মানুষ ঢিলেঢালা মনোভাব দেখাচ্ছেন, তাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নিজেদের ভাল বুঝতে, সকলকে সাবধান হয়ে যেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।