Suvendu Adhikari: 'বিরোধী দলনেতা আমি, সংগঠনের দায়িত্বে নেই' ভোটে ভরাডুবির দায় এড়ালেন শুভেন্দু?
West Bengal News: বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: লোকসভা ভোটে (Loksabha Election 2024) বিজেপির (BJP) ভরাডুবি হয়েছে। এবার কি তা নিয়ে দায় এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী? বুধবার তাঁর মন্তব্যের পর উঠছে সেই প্রশ্ন। শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করে দিলেন, যে তিনি শুধুমাত্র বিরোধী দলনেতা। সংগঠনের দায়িত্বে নেই তিনি। পাশাপাশি, মুকুল রায়ের প্রসঙ্গে তিনি বললেন, 'আমি সব ফেলে দিয়ে বিজেপিতে এসেছি।'
দায় এড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী?
বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। ২১-এর নির্বাচনে গেরুয়া শিবির ২০০ আসনের স্লোগান দেন। বাংলায় ৭৭-এ থামতে হয়েছিল বিজেপিকে। এরপর পুরসভা-পঞ্চায়েতে ভাল ফল করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এবছর লোকসভা ভোটেও ৩০-৩৫টি আসন জেতার ডাক দিয়েছিল তারা। কিন্তু ফলের পর দেখা যায় গতবারের চেয়েও নিচে নেমে গেছে বিজেপি। সম্প্রতি উপ নির্বাচনেও বিজেপির হাতে থাকা ৩টি আসনই হারিয়েছে তারা। এই প্রেক্ষাপটেই কি বাংলায় বিজেপির হারের দায় ঝাড়তে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী? দায় কি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য় বিজেপির সংগঠনের ওপর ঠেলতে চাইছেন তিনি? এই প্রশ্ন ফের উঠল, তার কারণ, বুধবার সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করেলন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "আপনি লক্ষ্য করবেন, বিরোধী দলনেতা আমি। আমি সংগঠনের দায়িত্বে নেই। আমি লোকসভা নির্বাচনের আগে বলুন, পরে বলুন কখনও সংবাদমাধ্যমের সামনে একটা এমন শব্দ-বাক্য প্রয়োগ করি না, যাতে ভারতীয় জনতা পার্টির বুথের কর্মীটি, আমাদের ভোটারটি হতাশ হয়। আমি এটা চালিয়ে যাব। আমি জাতীয়তাবাদী পরিবার থেকে এসেছি। মুকুল রায়ের মতো সব কেড়ে নেওয়ার পর আমি বিজেপিতে আসিনি। আমি সব ফেলে দিয়ে বিজেপিতে এসেছি। বিজেপি এবং সনাতন, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাষ্ট্রবাদ, এখানেই আমার অবসর হবে। এইটুকু আমি আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Bankura News: শ্বাসনালিতে চকোলেট আটকে মৃত্যুর মুখে মা, বিশেষ কৌশলে প্রাণ বাঁচালেন দুই মেয়ে