Agnipath Scheme Protest: 'অগ্নিপথ' বিতর্কের আঁচ রাজ্যেও, ঠাকুরনগর স্টেশন অবরোধ চাকরিপ্রার্থীদের
'Agnipath' Protest: সেনাবাহিনীতে চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ এত স্বল্পমেয়াদি চাকরি করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এতে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ, কারণ প্রশিক্ষণ নিতেই প্রায় দুই বছরের বেশি সময় লেগে যায়।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগণা: আজও 'অগ্নিপথ' বিতর্কের (Agnipath Scheme Protest) আঁচ রাজ্যে। কাল ভাটপাড়ায় বিক্ষোভের পর আজ ঠাকুরনগর স্টেশনে (Thakurnagar Station) রেল অবরোধ করল বিক্ষোভকারীরা। অবরোধে আটকে পড়েছে আপ ও ডাউনের বিভিন্ন ট্রেন।
রাজ্যে 'অগ্নিপথ' বিতর্কের জের
গতকাল ভাটপাড়ায় বিক্ষোভের পর আজও 'অগ্নিপথ' বিতর্কের জের। ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ বিক্ষোভকারীদের। অবরোধে আটকে পড়েছে একাধিক ট্রেন। কাজের দিনে সাত সকালে এমন ঘটনায় চরমে যাত্রী দুর্ভোগ। এর জেরে শিয়ালদা-বনগাঁ শাখাতেও ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল।
সকাল সাড়ে ৮টার খানিক আগে অবরোধ শুরু হয়। শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনে। সেনাবাহিনীতে যাঁরা চাকরিপ্রার্থী তাঁদের অভিযোগ এত স্বল্পমেয়াদি চাকরি করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এতে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হবে বলে অভিযোগ, কারণ প্রশিক্ষণ নিতেই প্রায় দুই বছরের বেশি সময় লেগে যায়। সেই ক্ষোভেই আজ অবরোধ শুরু করেন। রেললাইনে বসে বিক্ষোভ চলায় রেল চলাচল সম্পূর্ণ ব্যহত হয়। বনগাঁ জিআরপির আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। অবরোধকারীদের তাঁরা বোঝানোর চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: Howrah: রাস্তার কাজ চলার সময় বিপত্তি, পিচভর্তি ড্রামে দাউদাউ আগুন
বিহারে বিক্ষোভ
সেনায় নিযুক্তির 'অগ্নিপথ' প্রকল্প (Agnipath Scheme Protest) ঘিরে বিক্ষোভ চলছে গত তিন দিন ধরেই। ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছিলই, এ বার বিহারে আস্ত ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। সেখানে মহিউদ্দিননগর স্টেশনে হাজিপুর-বরাউনি লাইনে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসের দু'টি কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সমস্তিপুরে সম্পর্কক্রান্তি এক্সপ্রেসেও বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ট্রেন এবং ভিডিও ছবি সামনে এসেছে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।
বিহারের (Bihar) বক্সারে পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে একাধিক স্টেশনে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। পাটনাগামী জনশতাব্দি ট্রেন সেখানে ৩০ মিনিট আটকে রাখা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত বিহারে ৩৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ৭২টি ট্রেনের, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি এক্সপ্রেস ট্রেন. ২৯টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ১১টি ট্রেন আপাতত বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।