Durga Puja 2023: আজ দেবীর বোধন, মহাষষ্ঠীর পুণ্যলগ্নে সপরিবারে পিতৃগৃহে আগমন উমার
Durga Puja: বোধনের পর দেবীর অধিবাস। বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবীর আরাধনা৷ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী-সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা।
কলকাতা: আজ ষষ্ঠী (Sosthi)। দেবীর বোধন। সপরিবারে উমার পিতৃগৃহে আগমনের দিন। বোধনের পর দেবীর অধিবাস। বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবীর আরাধনা৷ গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী-সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা। সপ্তমীর সকালে পা দেবেন বাপের বাড়িতে৷ শহরজুড়ে মহোত্সবের আবহ। উত্তর, দক্ষিণ, সব জায়গাতেই এক ছবি। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়। নতুন জামাকাপড়৷ নতুন জুতো। হৈ-হুল্লোড়, খাওয়া-দাওয়া৷ উত্সবের আনন্দে ভাসছে শহর। থিম, সাবেকিয়ানা, নান্দনিকতায় মিলে-মিশে উদযাপনের রঙ৷ বাঙালির সেরা উত্সব।
বেলুড়মঠে মায়ের বোধন: ইতিমধ্যেই ঘট স্নান করিয়ে শারদোৎসবের সূচনা হয়েছে বেলুড় মঠেও। আজ রীতি মেনে ষষ্ঠীর কল্পারম্ভ অনুষ্ঠান হয়। সন্ধেয় দেবীর বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠান হবে। সকাল থেকেই ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন বেলুড় মঠের দেবী দর্শনে। আটচালাতেই তাঁকে রাখা হয়। সেই মতোই দেবীর মণ্ডপে সেই সজ্জা রাখা হয়েছে বেলুড় মঠে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো (Durga Puja) অনুষ্ঠিত হয়। মূল মঠের পাশেই দেবীর মণ্ডপ। প্রতি বছরের মতো এবছরও সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর ক'টা দিন অগুণিত ভক্তদের ভিড়ে জমজমাট থাকে এই প্রাঙ্গন। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। সেই বছর থেকেই এই পুজোয় নিষ্ঠাভরে মানা হয় কিছু বিধি। এবছরও মঠের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে পুজোর নির্ঘণ্ট। মঠের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে যথাক্রমে ২১, ২২ এবং ২৩ অক্টোবর অর্থাৎ শনিবার, রবিবার এবং সোমবার বেলুড় মঠে দিব্য মা শ্রী শ্রী দুর্গার পুজো করা হবে।
মহালয়া থেকেই পুজোর আমেজ: মহালয়ার দিন থেকেই শহরে পুজোর আমেজ। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন আট থেকে আশি। ভরা দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023) কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দর্শকদের ভিড়। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা শহর। আর চলতি বছরের প্রতিবারের মতোই তাক লাগানো থিম নিয়ে হাজির ময়দানে শহরের ক্লাবগুলি। বেশিরভাগ জায়গায় থিমের লড়াই চললেও পিছিয়ে নেই সাবেকি পুজোও। জোর প্রস্তুতি চলছে বনেদি বাড়িগুলোতেও।
বছর ঘুরে ফের পুজোর ঢাকে কাঠি। সাড়ম্বর থিমের সঙ্গে অনাড়ম্বর সাবেকিয়ানার টক্কর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, ষষ্ঠীর সকালেই পুজো দেখার ভিড়। আর পুজো মানেই এখন নতুনত্বের লড়াই। কারও থিম ভাবনায় অভিনবত্বের ছোঁয়া, তো কেউ বাজিমাত করেছে উপাদান বৈচিত্রে, কৃষ্টিতে। দর্শকদের মন জিতে নেওয়ার লড়াইয়ে সেরা পুজোগুলি পেল এবিপি আনন্দর শারদ আনন্দ সম্মান।
আরও পড়ুন: Weather Update: মাটি হবে ঠাকুর দেখা? চিন্তা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা