Heart Health Tips: ওষুধ না খেয়ে কীভাবে কমাবেন ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা? মেনুতে যোগ করুন এই খাবারগুলি
Bad Cholesterol: কোলেস্টেরল কমাতে ফিশ অয়েল দারুণ ভাবে কাজ করে। এই উপকরণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত। এই বিশেষ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
Heart Health Tips: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে (Cholesterol Level) না থাকলে অবনতি হবে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের। তার ফলে বাড়বে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack), স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে (Bad Cholesterol) অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেকসময় হয়তো আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় ওষুধ ছাড়াই। সেক্ষেত্রে ডাক্তারবাবুই পরামর্শ দেন খাওয়া-দাওয়ায় একটু নজর দেওয়ার দিকে। বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেগুলি কী কী দেখে নিন নীচের তালিকায়।
ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির বীজ
বিভিন্ন ধরনের বীজ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বিবিধ কারণে ভাল। এর মধ্যে একটি হল ফ্ল্যাক্সসিড। এই বীজের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা আমাদের শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কমায় ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণও। তার ফলে ভাল থাকে হার্ট। স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার প্রবণতা কমবে।
গাঢ় সবুজ রঙের শাকপাতা এবং বিভিন্ন ধরনের ডালজাতীয় শস্য
পালংশাক কিংবা কালে (একপ্রকারের শাক) রাখতে পারেন এই তালিকায়। এইসব শাকের মধ্যে থাকে লুটেন এবং ক্যারোটিনয়েডস। এই দুই উপকরণ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কাজে লাগে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ডাল, ডালজাতীয় দানাশস্য, বীজজাতীয় শস্য নিয়মিত খেতে পারলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরলের মাত্রা। যাঁরা নিরামিষভোজী তাঁদের পাতে এইসব শাক এবং ডাল থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
রসুন- খেতে পারেন কাঁচা, কিংবা ব্যবহার করুন রান্নায়
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে রসুন। এর মধ্যে অ্যালিসিন নামের একটি উপকরণ রয়েছে। এই অ্যালিসিনের মধ্যে আসলে থাকে সালফার যা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কম সময়ে অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। তাই রান্নায় রসুন ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুনের কোয়াও খেতে পারেন খালি পেটে, উপকার পাবেন।
ফিশ অয়েল
কোলেস্টেরল কমাতে ফিশ অয়েল দারুণ ভাবে কাজ করে। এই উপকরণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত। এই বিশেষ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন- একদিনেই দূর হবে ট্যান, ঘরোয়া উপকরণেই মুশকিল আসান
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।