(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Rahul Gandhi : 'যখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতাম...', স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তায় 'ভারত জোড়ো যাত্রা'-র প্রসঙ্গ রাহুলের
Congress Leader : শেয়ার করে নিলেন তাঁর ১৪৫ দিনের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'-র অভিজ্ঞতা
নয়াদিল্লি : "প্রত্যেক ভারতবাসীর আওয়াজ ভারতমাতা।" ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে X হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) লিখলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (Rahul Gandhi)। শেয়ার করে নিলেন তাঁর ১৪৫ দিনের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'-র অভিজ্ঞতা। সমুদ্র থেকে কাশ্মীরের তুষার পর্যন্ত যাত্রায় তাঁর কেমন অভিজ্ঞতা ছিল তা তুলে ধরলেন।
রাহুল লিখলেন, "গত বছর ১৪৫ দিন আমি সেই ভূমিতে হেঁটেছি যাকে আমি বাড়ি বলি। সমুদ্রের কিনার থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। রোদ-গরম, ধুলো ও বৃষ্টিতে হেঁটেছি। জঙ্গল, শহর, পাহরাড় অতিক্রম করেছি। যতক্ষণ না আমার প্রিয় কাশ্মীরের নরম তুষারে পৌঁছেছি ততক্ষণ হেঁটেছি।" এই যাত্রাপথে তাঁকে যে যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হয়েছে তার উল্লেখ করেন। তবে, এই যাত্রা থেকে যে অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছেন তা অস্বীকার করেননি কংগ্রেস সাংসদ।
Bharat Mata is the voice of every Indian 🇮🇳 pic.twitter.com/7w1l7VJaEL
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 14, 2023
তাঁর কথা অনুযায়ী, "কয়েকদিনের মধ্য়েই যন্ত্রণা চলে ফিরে আসে। আমার পুরনো হাঁটুর ব্যথা, যেটা ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে তাড়ানো হয়েছিল, সেই যন্ত্রণা আবার ফিরে আসে। কয়েকদিন হাঁটার পর, আমার ফিজিও আমার সঙ্গে যোগ দেন। তিনি আমাকে অসাধারণ উপদেশ দেন। যন্ত্রণা থেকেই যায়। তারপর হঠাৎ আমি পরিবর্তন দেখলাম। যখনই আমি থামার কথা ভাবতাম, হাল ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতাম, তখন কেউ একজন এসে এনার্জি উপহার দিয়ে যেতেন। এভাবেই যাত্রা চলল। শীঘ্রই এত বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন, যন্ত্রণাও রয়ে গেল । আমি এর পর থেকে পর্যবেক্ষণ করতে, শুনতে লাগলাম।"
৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে সমারোহ। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ে দশমবার। সকালে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মোদি। এরপর পৌঁছন লালকেল্লায়। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের ১ হাজার ৮০০ জন। লালকেল্লায় পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর ২১ বার তোপধ্বনির মধ্যেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। আকাশপথে পুষ্পবৃষ্টি করে সেনা কপ্টার। স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দিল্লি-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।