John Barla meets Governor: পৃথক রাজ্যের দাবি ঘিরে জল্পনার মধ্যেই রাজ্যপাল-সাক্ষাৎ বার্লার
পৃথক রাজ্যের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সাংসদের সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু, সাংসদ কী বললেন ?
দার্জিলিং : দার্জিলিং রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য সহ ১০ জনকে সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। সাংসদ পৃথক রাজ্যের দাবি তোলার পরই রাজ্যপালের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও সাংসদের দাবি, তৃণমূলের অত্যাচারে আলিপুরদুয়ারের ঘরছাড়া বিজেপির নেতা-নেত্রীরা তাঁর কাছে আশ্রয় নিয়েছেন। সেই ঘটনা তুলে ধরতেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ। তবে কি দল সতর্ক করার পর সুর নরম করলেন সাংসদ? এপ্রসঙ্গে বার্লা জানান, এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বৈঠক শেষে একটি ভিডিও ট্যুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। উল্লেখ্য, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল। এনিয়ে রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল।
এদিকে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ। তিনি বলেছিলেন, আলাদা রাজ্য হলেও ভাল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হলেও ভাল। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্রা খাঁ আবার জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবি জানিয়েছেন। এক বিজেপি সাংসদ চাইছেন পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য, অপরজন দাবি করছেন, আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্যের। যা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগে সরব হয় তৃণমূল। এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার বিজেপি মিডিয়া সেলের বৈঠকে সদস্যদের একাংশ দিলীপ ঘোষের কাছে অভিযোগ করেন, জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁ যেভাবে আলাদা রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন, তাতে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে। দুই সাংসদকে সতর্ক করার দাবি জানানো হয়। দিলীপ ঘোষের কড়া অবস্থানের পর সৌমিত্র খাঁ সুর নরম করেন। আজ জন বার্লাও এই ইস্যুতে কোনও মন্তব্য না করায় তিনিও সুর নরম করেছেন বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। যদিও এনিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার কথা জানিয়েছেন।
ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে সম্প্রতি জন বার্লা দাবি করেছিলেন, সম্প্রতি কুমারগ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান, উপ প্রধান, জেলা পরিষদের সদস্যা-সহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, সকলেই ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার। বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় ১০০ দিনের কাজ, রেশন-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে কর্মী-সমর্থকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। থানায় জানালেও বিজেপি নেতা-কর্মীদের সাহায্য করা হচ্ছে না বলে সাংসদের অভিযোগ।