Covid19 Update : প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গন্ধ শুঁকে করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করতে পারবে স্নিফার ডগ, বলছেন গবেষকরা
করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণের নতুন একটি গবেষণা সামনে এল। গন্ধ শুঁকে স্নিফার ডগ জানিয়ে দেবে কেউ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কি না। এজন্য ওই কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে।
নিউ দিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনও লাগামছাড়া সংক্রমণ। নিত্যনতুন পরীক্ষা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস শনাক্তকরণের নতুন একটি গবেষণা সামনে এল। গন্ধ শুঁকে স্নিফার ডগ জানিয়ে দেবে কেউ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত কি না। এজন্য ওই কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া যাবে।
এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরদের বিশাল কোনও জমায়েত বা বিমানবন্দরে করোনার গন্ধ শোঁকার জন্য শীঘ্রই ব্যবহার করা হতে পারে। লন্ডন স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এমনই গবেষণার কথা জানিয়েছে রয়টার্স।
শুধু কী তাই ! এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরেরা উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গ রয়েছে এমন আক্রান্তদেরও ঘ্রাণ নিতে সক্ষম। ইংল্যান্ডের ভ্যারিয়েন্টেরও ঘ্রাণ নিতে পেরেছে। সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহার করা অপরিচ্ছন্ন মোজা ও টি-শার্টর প্রায় সাড়ে তিন হাজার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। এর নেতৃত্ব দেন রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ জেমস লোগান।
গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের গন্ধ শনাক্তকরণের ট্রায়ালপর্বে সবেথেকে ভাল পারফর্ম করা কুকুরের সাফল্যের হার ৯৪.৩ শতাংশ। অর্থাৎ ভুয়ো-নেগেটিভ রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা খুবই কম। নির্দিষ্টভাবে ফল আসার সম্ভাবনা ৯২ শতাংশ।
এই গবেষণায় কাজ করেছেন ডুরহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক স্টিভ লিন্ডসে। তিনি রয়টার্সকে বলেন, বড় সংখ্যক মানুষের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কুকুরকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এবং এভাবে ইংল্যান্ডে কোভিডের পুনরার্বিভাব আটকানো যাবে।
অন্যান্য স্ক্রিনিং পদ্ধতির থেকে স্নিফার ডগ ব্যবহার করার সবথেকে সুবিধা হল- বড় সংখ্যক মানুষের মধ্যে তা অনেক নিখুঁত হবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, কুকুর ব্যবহার করে এ ধরনের পাইলট প্রোজেক্ট চালু হয়েছে জার্মানি, চিলি ও ফিনল্যান্ডে। এর আগে ভারতীয় সেনা দ্রুত করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে কুকুর ব্যবহার করেছিল। যাতে বাহিনীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভারতে সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টাতেও সংক্রমিত হয়েছেন ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪২৭ জন।