Job Scam: ১৫ লাখ ঘুষ দিয়ে স্ত্রীকে রেলের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, বিচ্ছেদ হতেই পর্দা ফাঁস করল স্বামী
Railway Recruitment Scam: চাকরি পাওয়ার ৫ মাস পরেই তার স্ত্রী আশা তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। তাঁকে বেকার বলে বিদ্রুপ করতে থাকে, এবং তার সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করে। তারপরেই স্ত্রীর দুর্নীতি ফাঁস করে দেন তিনি।

জয়পুর: স্ত্রীকে বেআইনি পথে ঘুষ দিয়ে রেলের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন আর তাদের বিচ্ছেদের পরেই সমস্ত গোপন তথ্য, দুর্নীতির ব্যাপারে পুলিশকে জানাল স্বামী। প্রকাশ্যে এল বিরাট মাপের এক চাকরি দুর্নীতির চক্র। তাও আবার ভারতীয় রেলে দুর্নীতির (Job Scam) উদাহরণ প্রকাশ্যে উঠে এল। কোটার বাসিন্দা মণীশ মীনা আজ থেকে আট মাস আগে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন এবং জানিয়েছিলেন যে তার স্ত্রী আশা মীনা জাল শংসাপত্র (Railway Job) দেখিয়ে রেলের একটি চাকরি পেয়েছেন। এমনকী তার স্ত্রীর হয়ে সেই 'ডামি' নিজে সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
মণীশ নামের সেই ব্যক্তি এও দাবি করেন যে এক এজেন্টের মাধ্যমে সেই ডামিকে জোগাড় করে দিয়েছিলেন তিনি, যার নাম জানা গিয়েছিল রাজেন্দ্র। একজন রেলওয়ে গার্ডের কাজ করেন তিনি। নিজের চাষের জমি বন্ধক রেখে তাঁকে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন মণীশ যাতে তার স্ত্রীর চাকরি হয়ে যায় ভারতীয় রেলওয়েতে। কিন্তু চাকরি পাওয়ার মাত্র ৫ মাস পরেই তার স্ত্রী আশা তাঁকে ছেড়ে চলে যায়। তাঁকে বেকার বলে বিদ্রুপ করতে থাকে, এবং তার সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করে। ব্যক্তিগত এবং অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বাসভঙ্গ হওয়ার জেরে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে দেন তিনি। আর মণীশের এই আবেদনের ভিত্তিতে পশ্চিম মধ্য রেলওয়ের ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্ট তদন্ত করা শুরু করেছে, আর এই তদন্তের ভার শেষে গিয়ে পড়েছে সিবিআইয়ের উপরে। গত শুক্রবার সিবিআই এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল লক্ষ্মী মীনা এবং রেলের পয়েন্টওম্যান আশা মীনা সহ আরও অপরিচিত রেলকর্মীর।
সংবাদমাধ্যমকে মণীশ মীনা জানিয়েছেন যে, কয়েকদিন আগেই তার স্ত্রী আশা মীনা এবং সেই রেলের গার্ড রাজেন্দ্রকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে জব্বলপুরের সেই রেলের প্রবীণ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি যারা এই চাকরি দুর্নীতির চক্র চালাচ্ছিলেন। লক্ষ্মী মীনার উপরেও তদন্ত চলছে যিনি অন্যের হয়ে রেলের পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত। মণীশের কথা থেকেই জানা যায় যে এই লক্ষ্মী মীনাই আদপে তার স্ত্রী আশা মীনা ও অপর এক প্রার্থী স্বপ্না মীনার হয়ে আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ফিজিক্যাল টেস্টও সম্পূর্ণ করেছিলেন, নথি যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছিল। লক্ষ্মীর সহায়তাতেই পয়েন্টসওম্যানের চাকরি পান তিনি। লক্ষ্মী নিজেও মাত্র কয়েক মাস আগেই দিল্লি পুলিশে কনস্টেবলের চাকরি পেয়েছিলেন। তথ্য ঘেঁটে দেখা গিয়েছে ২০২২ সালের ৩০ অগাস্ট তারিখে রিজিওনাল রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের আয়োজিত একটি পরীক্ষায় বসেছিলেন এই লক্ষ্মী মীনা, তাও আশা মীনার হয়ে। ফলে পুলিশ ও সিবিআই এই ঘটনাকে এক বিরাট গুপ্ত চক্রের সামান্য অংশ বলে মনে করছেন, তদন্ত জারি রয়েছে এখনও।
আরও পড়ুন: Precious Metal: ১০ বছরের মধ্যে সোনার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে এই ধাতু, কী জানাল সমীক্ষা ?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
