এক্সপ্লোর
বলিউডে নতুন বাঙালি মুখ, স্টার হতে নয়, অভিনয় করতে এসেছি, বলছেন রুমানা

1/9

তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোট পর্দা থেকে। তারপর বেছে নিয়েছিলেন থিয়েটারের মঞ্চ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডে পা জমিয়েছেন। কাজ করেছেন প্যায়ার কা পঞ্চনামা, ভার্জিন ভানুপ্রিয়া, ইরাদা-সহ একাধিক ছবি ও ওয়েব সিরিজে। রুমানা মোল্লা। বলিউডে পরিচিতি গড়ে তোলা আর এক বাঙালি অভিনেত্রী।
2/9

কাজের সূত্রেই কলকাতা এসেছিলেন রুমানা। কলকাতার সবাই নাকি খুব শান্তিপ্রিয়! রুমানা বলছেন, ‘কলকাতার একটা নিজস্ব ছন্দ রয়েছে, সংস্কৃতি রয়েছে। সেটা কেউ ভাঙে না। কলকাতা গেলেই আমার মনে হয়, এখানে চাপ না নিয়ে হালকাভাবে কাজ করা যায়।’ আপাতত দেব ডি ডি-র দ্বিতীয় সিজনের কাজ করছেন রুমানা। হাতে রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্টের কাজও। সেইসঙ্গে চলছে ‘হাউ টু কিল ইওর হ্যাজব্যন্ড’ ওয়েব সিরিজের কাজও। এই সিরিজে রুমানার সঙ্গে দেখা যাবে অহনা কুমার ও বিক্রম কোচারকে।
3/9

বলিউডে কার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে রুমানার? ‘তালিকাটা বেশ লম্বা’, বললেন অভিনেত্রী। একটু ভেবে নিয়ে ফের বললেন, ‘ভিকি কৌশল! ও দারুণ অভিনেতা। খুব ইচ্ছা আছে একসঙ্গে কাজ করার। আর টব্বু। উনি আমার ফেভারিট, বলা ভালো ওনার ভক্ত আমি। কোনও একটা চরিত্রে, এক মিনিটের জন্য হলেও আমি টব্বুর সঙ্গে অভিনয় করতে চাই।’
4/9

সুশান্ত সিং রাজপুত থেকে আসিফ খুরেশির মৃত্যু, একাধিকবার সামনে এসেছে রুপোলি পর্দার গ্ল্যামারের আড়ালে থাকা অবসাদের নজির। বিতর্কের মুখে পড়েছে বলিউডের স্বজনপোষন বা নেপোটিজেমের প্রবণতাও। বলিউডে কোনও পূর্বপরিচিতি ছিল না রুমানারও। কাজ করতে গিয়ে কখনও গ্রাস করেছে অবসাদ? রুমানা বলছেন, ‘এই বিষয়টা নির্ভর করে মানুষের চাহিদার অপর। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই আসেন অবান্তর আশা নিয়ে। এই ইন্ডাস্ট্রি প্রত্যেকের ধৈর্য্য আর মানসিক শক্তিকে পরীক্ষা করবেই। টিকে থাকার জন্য মানসিকভাবে শক্ত থাকা আর নমনীয় হওয়াটা খুব জরুরি। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে স্টার হতে আসিনি, অভিনয় করতে এসেছি। তাই যতটা সুযোগ পেয়েছি, নিজের সেরাটা দিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করেছি। আমি আমার জার্নিটা খুব উপভোগ করি। আর হ্যাঁ, নিজেকে খুশি রাখার জন্য থিয়েটার করি। নিজে কী চাইছি সেটা নিজের কাছে স্পষ্ট না হলে বলিউডে কাজ করা খুব কঠিন। আমার মনে হয়, কাজ আর ব্যক্তিজীবনটাকে আলাদা রাখা উচিত।’
5/9

ঝরঝরে বাংলায় কথা বলে যাচ্ছিলেন রুমানা। স্বভাবতই প্রশ্ন এল, টলিউড ছেড়ে বলিউডে কেন? হাসতে হাসতে রুমানা বললেন, ‘আমার মা বাঙালি। কিন্তু আমি কোনওদিন টলিউডে অভিনয় করার চেষ্টা করিনি। মনে হয়েছে বলিউড আর টলিউড একসঙ্গে সামলানো কঠিন। তবে কোনওদিন বাংলায় অভিনয় করার সুযোগ পেলে অবশ্যই করব।’ বাংলায় পছন্দের অভিনেতা কে? ‘প্রসেনজিৎ স্যার (প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়)! ওনাকে কে না চেনে.. এখনও মনে আছে মা খুব প্রসেনজিতের সিনেমা দেখতেন।’ উচ্ছসিত রুমানা। বললেন, ‘আর অপর্ণা ম্যাম (অপর্ণা সেন), কঙ্কনা সেনশর্মা আর রাইমা সেন। আমরা মনে হয় খুব বেশি ছবি না করলেও, রাইমা ভীষণ ভালো অভিনেত্রী।’
6/9

রুপোলি পর্দা ছাড়াও একাধিক ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন রুমানা। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? অভিনেত্রী বলছেন, ‘সিনেমার ক্ষেত্রে চরিত্রটি কেবল একটি গল্পেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু ওয়েব সিরিজে একই চরিত্র অনেকগুলি সিজন ধরে চলতে থাকে। তাই চরিত্রের মধ্যে অনেক নতুনত্ব নিয়ে আসা যায়। এই বিষয়টা আমার বেশ আকর্ষণীয় লাগে।’
7/9

কিছু অভিজ্ঞতা ভালো আবার কিছু চ্যালেঞ্জিং। বলিউড সবরকম অভিজ্ঞতাই দিয়েছে রুমানাকে। তবে সবচেয়ে স্মরণীয় কাজ হিসাবে ‘ইরাদা’ ছবির কথাই মনে করতে চান রুমানা। বলছেন, ‘ইরাদা সবসময় আমার কাছে বিশেষ একটা কাজ। ওখানে আমি নাসিফ স্যারের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এছাড়াও ‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা ২’-তে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলাম। সেখান থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। ওটাই আমার করা প্রথম বড় চরিত্র। গ্ল্যামার দুনিয়ার একটা চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা সোজা নয়, সেটা বুঝেছিলাম। ইরাদার পর প্যায়ার কা পঞ্চনামা ২-তে ছিল একেবারে অন্যরকম একটা চরিত্র। প্রত্যেকটা ছবিই একটা নতুন অভিজ্ঞতা।’
8/9

রুমানার উত্থান মঞ্চ থেকে। থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন দীর্ঘদিন, পড়াশোনাও করেছেন। বলিউডে নাসিরুদ্দিন শাহ, রাধিকা আপ্তে, ইরফান খান, ওম পুরির মতো তাবড় তাবড় অভিনেতার অভিনয় জীবন শুরু থিয়েটার থেকেই। রুমানাকে বলিউডে জায়গা করে নিতে ঠিক কতটা সাহায্য করেছিল মঞ্চ? উত্তরে বললেন, ‘অভিনয় শেখার জন্য থিয়েটারের বিকল্প হয় না। আর মঞ্চাভিনয় করলে বহু মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ থাকে। একজন অভিনেতার সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকা খুব জরুরি। আর থিয়েটারে কোনও কাট হয় না, রিটেক হয় না। এই অভ্যাসটা পরবর্তী ক্ষেত্রে অভিনয়কে অনেকটা ধারালো করে তোলে বলে আমার মনে হয়। আর অনুভূতিকে নিজের বশে রাখার শিক্ষা দেয় থিয়েটার। তাই অভিনয়ের মাধ্যমে যে কোনও পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলার একটা দক্ষতা তৈরি হয়ে যায়।’
9/9

‘এখন পিছন ফিরে দেখলে মনে হয় ভালো-মন্দ মিলিয়ে অভিনয়ের জীবনে এই পথ চলাটা বেশ শিক্ষনীয় ছিল। আমার পরিচিত কেউ কোনওদিন বলিউডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। সেই জায়গা থেকে অভিনয়ের জগতে নিজের জায়গা করে নেওয়াটা বেশ কঠিন। আমি বাইরে থেকে মুম্বই এসেছিলাম কেবল অভিনয়ের টানে। কেবল বলিউডে নিজের জায়গা নয়, মায়ানগরীতে থাকার জায়গার ব্যবস্থাও করতে হয়েছিল নিজেকেই। আর বলিউডে জায়গা করে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি হল ধৈর্য্য। পরিস্থিতি বুঝতেই প্রথম ৩-৪ বছর কেটে যায়,’ এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন বাঙালি অভিনেত্রী।
Published at :
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আইপিএল
জেলার
আইপিএল
মালদা
Advertisement
ট্রেন্ডিং
