Falgun Amavasya 2024 : শিবরাত্রির ঠিক পরেই ফাল্গুন অমাবস্যা, কোন কোন দেবতার পুজো করলে 'ধুয়ে সাফ হবে পাপ'?
Falgun Amavasya 2023 Date : জীবন থেকে সব দোষ হবে দূর, ফাল্গুন মাসের অমাবস্যায় করে ফেলুন এই কাজগুলো
Falgun Amavasya 2024 : আর পাঁচটা অমাবস্যা তিথির মতো নয়। ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা বিশেষ কারণেই ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ গুরুত্ব সহকারে এই ব্রত পালন করেন অনেকে। পঞ্জিকা অনুসারে এবছর ফাল্গুনী অমাবস্যা ৯ মার্চ।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৫ তম দিনকে অমাবস্যা বলা হয়। পিতৃ তর্পণ, শ্রাদ্ধ, বিষ্ণু ও শিবের পুজোর জন্য এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। ফাল্গুন অমাবস্যা খুবই বিশেষ,কারণ মহাশিবরাত্রির এক দিন আগে তা পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয়,এই দিনে গঙ্গা স্নান ও দান করলে জীবন থেকে সব দোষ দূর হয় এবং মানুষ সুখ,সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য লাভ করে। আসুন জেনে নিই ২০২৪-এ ফাল্গুন অমাবস্যার তারিখ, স্নান-দানের শুভ সময় এবং তাৎপর্য।
৯ তারিখ ৬ টা ১৭ য় শুরু হয়ে অমাবস্যা চলবে পরের দিন ১০ মার্চ দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। এই অমাবস্যা তিথিতে স্নান-দান মুহূর্ত পাওয়া যাবে ভোর ৪ টে ৪৯ থেকে ৫ টা ৪৮ পর্যন্ত। এরপর অভিজিৎ মুহূর্ত তৈরি হবে দুপুর ১২ টা ৮ মিনিট থেকে ১ টা ৫৫ পর্যন্ত। এদিন রাহুকাল চলবে ৪ টে ৫৮ থেকে ৬ টা ২৭ পর্যন্ত।
ফাল্গুন অমাবস্যার তাৎপর্য
হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, দেব-দেবীদের পুজো করার জন্য এই দিনটি পবিত্র। সেই সঙ্গে এই তিথিতে কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করা অতি পুণ্যের বলে মনে করা হয়। যাঁরা এই ব্রত পালন করেন, তাঁদের পূর্বপুরুষদের মুক্তি হয় বলে বিশ্বাস। এই অমাবস্যা ব্রত পালনে জীবনের সমস্ত দুঃখ, দারিদ্র্য এবং ঝামেলা থেকে মুক্তি হয় বলে মনে করা হয়।
পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য করা এদিন দান করা ভাল। যে যার সাধ্যমতো দান করলেই হবে। এছাড়া উপবাস, তর্পণ, শ্রাদ্ধ ইত্যাদির জন্য এই দিনটিকে অত্যন্ত ভাল মনে করা হয়। শাস্ত্রে অমাবস্যার দিনটিকে শনিদেবের দিন হিসেবে ধরা হয়। ফাল্গুন অমাবস্যার দিনে শনিদেবের আশীর্বাদ পেতে শনিদেবকে তুষ্ট করার উপায়গুলো মেনে চলতে হবে।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।